বিশ মিনিটের ব্যবধানে স্বর্গ থেকে শূন্যে!
ফুটবল হাসায়, ফুটবল কাঁদায়, ফুটবল ভাসায় উল্লাসে। ফুটবলই কাউকে বানায় রাজা, কাউকে মুহূর্তের ব্যবধানে করে দেউলিয়া। এক মুহূর্তের সফলতায় যিনি নায়ক, খানিক বাদের ব্যর্থতায় তিনিই পরিণত হন খলনায়কে। ফুটবলের এই পালা বদলের সর্বশেষ সাক্ষী হলেন রাশিয়ার ব্রাজিলিয়ান বংশোদ্ভুত ফুটবলার মারিও ফার্নান্দেস।
জন্ম, বেড়ে ওঠা ব্রাজিলে হলেও, বছর ছয়েক আগে রাশিয়ায় পাড়ি জমান ফার্ন্দান্দেস। তার আগে ২০১১ সালে ব্রাজিলের জার্সি গায়ে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচেও খেলেছেন তিনি। চরম হতাশায় ভুগে দেশ ছাড়েন তিনি, সুযোগ পেয়ে যান রাশিয়ান ফুটবল দলে। চলতি বিশ্বকাপে হতে পারতেন রাশিয়ানদের নয়নের মণি কিন্তু বিশ্বকাপ শেষে হয়ে রইলেন স্বাগতিকদের চোখের বিষ।
ঘটনা শনিবার রাতের রাশিয়া-ক্রোয়েশিয়ার কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের। ম্যাচে প্রথমে গোল করেও ২-১ গোলে পিছিয়ে পড়ে স্বাগতিক রাশিয়া। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলাও যখন একদম শেষ পর্যায়ে তখন রাশিয়ানদের আশা বাঁচিয়ে তোলেন রক্ষণভাগের খেলোয়াড় মারিও ফার্নান্দেস।
১১৫তম মিনিটে অ্যালান জাগোয়েভের ফ্রি-কিক থেকে সরাসরি হেডে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান ফার্ন্দান্দেস। এক মুহূর্তেই রাশিয়ার বিশ্বকাপ স্বপ্নের নায়ক হয়ে যান তিনি। ম্যাচের বাকি সময়ে আর কোন গোল না হলে ফল নির্ধারণের জন্যে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে।
সেখানে প্রথম শট থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন রাশিয়ার স্ট্রাইকার ফেদর স্মলভ। পরে ক্রোয়েশিয়ার কোভাচিচের শট ঠেকিয়ে রাশিয়ানদের ম্যাচে ফেরান গোলরক্ষক ইগর আকিনফিভ। কিন্তু তৃতীয় শট নিতে এসেই গোলমাল বাঁধিয়ে ফেলেন মারিও ফার্নান্দেস।
প্রথম দুই শট থেকে একটি করে মিস করে দুই দল যখন সমতায় তখন শট নিতে আসেন ফার্নান্দেস। তিনি গোল করতে পারলেই টিকে থাকবে রাশিয়ার আশা, ব্যর্থ হলে কমে যাবে ম্যাচ জেতার সম্ভাবনা। এমতাবস্থায় শট নিতে এসে বাম পাশের বারের বাইরেই মেরে দেন ফার্নান্দেস।
যিনি কিনা ম্যাচের ১১৫ তম মিনিটে তুমুল চাপের মাঝে দুর্দান্ত এক হেডে জাগিয়ে তুলেছেন রাশিয়ানদের আশা। সেই তিনিই মিনিট বিশেকের ব্যবধানে টাইব্রেকারের চাপ সইতে না পেরে বল পাঠিয়ে দেন গোলবারের বাইরে। একেই হয়তো বলে ‘হিরো থেকে জিরো’ বা ‘স্বর্গ থেকে শূন্যে’।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন