‘ভিসির বাড়িতে হামলাকারীদেরই গ্রেফতার করা হচ্ছে’

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসির বাসভবনে হামলাকারীদেরই এখন গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, উচ্ছৃঙ্খলা তো কখনও বরদাস্ত করা যায় না। যারা ভেন্ডালিজম করেছে এখানে যারা আক্রমণ করেছে তাদেরকে ছাড়া হবে না। তাদেরকে ছাড়া যায় না। কাজেই তাদেরকেই গ্রেফতার করা হচ্ছে এবং তদন্ত করা হচ্ছে। তারা যত আন্দোলনই করুক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কারণ তারা লেখাপড়া শিখতে আসেনি।

বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) জাতীয় সংসদের ২১তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে বিরাধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সহানুভূতির দৃষ্টিতে দেখতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, কোটা নিয়ে ছেলে-মেয়েদের মধ্যে বিভ্রাট দেখা যাচ্ছে। কোটা নিয়ে আন্দোলন করছে। তারা তো আমাদের সন্তান। তারা তো আবদার করবেই। তারা তো চাকরি চাইবে। স্পিকারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করবো তিনি যেন সহানুভূতির দৃষ্টি নিয়ে বিষয়টি বিবেচনা করেন।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনকারীরা ঠিক যে কি চায় সেটা কিন্তু তারাও সঠিকভাবে বলতে পারে না।

তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী বুধবার বলেছেন কোটা নিয়ে হাইকোর্টের রায় রয়েছে। যেখানে হাইকোর্টের রায় আছে মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা ওইভাবে সংরক্ষিত থাকবে। তাহলে আমরা হাইকোর্টের রায় কীভাবে ভায়োলেট করবো। সেটাতো করতে পারছি না।

তিনি বলেন, আমি যেটা করে দিয়েছি কোটা আইনে যেটাই থাকুক কোটা পূরণের সঙ্গে সঙ্গে যেখানে খালি থাকবে সেটা মেধা তালিকা থেকে পুন:গ্রহণ হবে। গত কয়েক বছর ধরে কিন্তু এ প্রক্রিয়া চালু রয়েছে। আমি বিরোধী দলের নেতাকে জিজ্ঞাসা করি আজকে আন্দোলন তারা করছে ভালো কথা। কিন্তু ভিসির বাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন দেয়া, গাড়ি পোড়ানো, বেডরুম পর্যন্ত পৌঁছে ভাঙচুর ও লুটপাট করা। গহনা-গাটি লুটপাট করা, ভিসির পরিবার লুকিয়ে থেকে জীবন বাঁচিয়েছে- এটা কি কোনো শিক্ষার্থীদের কাজ? এটা কি কোনো শিক্ষার্থী করতে পার? আজকে তারা কথায় কথায় তালা দেয় ক্লাস করবে না। পরীক্ষা দেবে না, ক্ষতিগ্রস্থ কে হবে? এতে তো আবার সেশনজট বাড়বে।

তিনি বলেন, আমি তো বললাম কোটা বাদ দিতে কিন্তু হাইকোর্টের রায় আছে। তখন তো আমি আদালাত অবমাননায় পড়ে যাব। এটা তো কেউ করতে পারবে না। কিন্তু কেবিনেট সেক্রিটারিকে দিয়ে একটি কমিটিও করে দিয়েছি। তারা সেটা দেখছে। তাহলে এদের সমস্যাটা কোথায়? পনের টাকার সিট ভাড়া দিয়ে আজ তারা লাফালাফি করে। তারা হলের গেট ভেঙে ফেলে দিবে, মধ্যরাতে হল থেকে বেরিয়ে যাবে? এটা কি আন্দোলন নাকি?

আর ভিসির বাড়িতে সিসি ক্যামের ভেঙে ফেলেছে, চিপস নিয়ে গেছে। কিন্তু তারা জানে না আশেপাশে আরও ক্যামেরা ছিল। বৃটিশ কাউন্সিল থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় ক্যামেরা ছিল। সেই ক্যামেরা দেখে একটা একটা করে খুঁজে বের করা হচ্ছে। তাই তাদের বিচার হবেই।