প্রধানমন্ত্রীর সতর্কতার পরদিনই ছাত্রলীগের ‘বাড়াবাড়ি’
‘বাড়াবাড়ি’ না করতে ছাত্রলীগকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সতর্ক করার পরদিনই আবার শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে সরকার সমর্থিত ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
রবিবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্বঘোষিত ছাত্র সমাবেশে এই হামলার ঘটনা ঘটে। টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশটির আয়োজন করা হয়েছিল।
হামলায় এতে বেশ কয়েকজন ছাত্রছাত্রী আহত হন বলে অভিযোগ করছে শিক্ষার্থীরা। তাদের দুই সহপাঠীকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগও করা হয়েছে। এই দুই জন হলেন কোটা আন্দোলনের যুগ্ম-আহ্বায়ক বেন ইয়ামিন ও সোহরাব হোসেন।
গত ২৭ জুন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা রাশেদ খাঁন ফেসবুক লাইভে এসে ‘মনে হয় তার বাপের দেশ’ এই জাতীয় বক্তব্য দেয়ার পর থেকেই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালাচ্ছে।
এই কটূক্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে করা হয়েছে অভিযোগ তুলে ৩০ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, ২ জুলাই ঢাকার পাশাপাশি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। রাজশাহীতে এক ছাত্রকে হাতুরিপেটা করে পা ভেঙে দেয়া হয়।
গত ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার হামলা হয়। একই দিন প্রতিবাদী শিক্ষকদের এক কর্মসূচিতেও বাধা দেয় ছাত্রলীগ। আর এই ঘটনায় তীব্র সমালোচনা উঠে।
এর মধ্যে শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদেরকে যেকে ‘বাড়াবাড়ি না করার’ নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার সকালে সচিবালয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা কিছু অভিযোগ পেয়েছি কোটা সংস্কারের যে আন্দোলন; এ আন্দোলনে ছাত্রলীগের নামে আমরা কিছু বাড়াবাড়ির অভিযোগ পেয়েছিলাম।’
‘গতকাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আমাদের সভা শেষে আমাদের নেত্রী, দেশরত্ন শেখ হাসিনা পরিষ্কারভাবে আমার সামনে নেতাদের বলেছেন, ছাত্রলীগের নামে যেন কোনো বাড়াবাড়ির অভিযোগ আর তিনি না পান।’
তবে কাদেরের বক্তব্যের পর ছয় ঘণ্টা যেতে না যেতেই আবার ‘বাড়াবাড়ি’ করল ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন