শিক্ষকের পায়ুপথে ২৪০০ পিস ইয়াবা!

পায়ুপথ দিয়ে পেটের ভেতরে অভিনব পদ্ধতিতে ইয়াবা বহন করা অবস্থায় আবু মোসলেম উদ্দিন ওরফে ইদ্রিস নামে মাদ্রাসার এক সাবেক শিক্ষককে আটক করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ র‍্যাব-১১ এর সদস্যরা শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার শিমরাইল এলাকা থেকে তাকে আটক করে।

পরে মেডিকেল টেস্টের পর নিশ্চিত হয়ে ইদ্রিসের পায়ুপথ দিয়ে বের করা হয় স্কচটেপে মোড়ানো তিনটি প্যাকেট ভর্তি ২ হাজার ৪শ’ পিস ইয়াবা।

এরপর রাতেই সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীনগরে অবস্থিত র‍্যাব-১১ সদর দফতরে প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হয়।

র‍্যাব জানায়, ইদ্রিস কক্সবাজার জেলার মহেশপুর থানার শাহ্পুরী দ্বীপ এলাকার একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন। প্রায় এক বছর তিনি ইয়াবা ব্যবসা করছেন বলে জানিয়েছেন।

র‍্যাব-১১ এর ভারপ্রাপ্ত ব্যাটালিয়ান অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত সিও) মেজর আশিক বিল্লাহ জানান, দুই মাস আগে এক ইয়াবা ব্যবসায়ীকে আটকের পর ইদ্রিস সম্পর্কে তিনি তথ্য দেন। তিনি একসঙ্গে আড়াই থেকে তিন হাজার পিস ইয়াবা নিজের পায়ুপথ দিয়ে পেটের ভেতরে বহন করতে সক্ষম। সেগুলো কক্সবাজার থেকে অভ্যন্তরীণ বিমানে এসে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করতেন।

প্রতি চালানে মূল ডিলারদের কাছ থেকে ইদ্রিস ২০ হাজার টাকা করে পেয়ে থাকেন। গত এক বছরে ২০-২৫ বার এভাবে ইয়াবা নারায়ণগঞ্জে এনে সরবরাহ করেছেন তিনি। মাসে তিন থেকে চারবার তিনি এভাবে ইয়াবা সরবরাহ করতেন।

এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার রাতে ইয়াবা নিয়ে কক্সবাজার থেকে বিমানে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন ইদ্রিস। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখান থেকেই র‍্যাব তাকে অনুসরণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে তিনি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় নামলে তাকে আটক করে স্থানীয় একটি বেসরকারি মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে শারিরীক পরীক্ষা করে।

সেখানে ডিজিটাল এক্স-রে রিপোর্টে তার পেটে ইয়াবার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে ইদ্রিস ইয়াবা বহনের কথা স্বীকার করেন এবং পায়ুপথ থেকে ইয়াবাগুলো বের করে দেন।

র‍্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, ইয়াবা ব্যবসায়ী ইদ্রিসের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মাদক আইনে মামলা দায়েরের পর পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হবে। তার সঙ্গে জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।