টিএসসির সেই ছবি এবার আন্তর্জাতিক মিডিয়ায়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে এক প্রেমিক-প্রেমিকা জুটির চুমুর যে ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর তার পক্ষে-বিপক্ষে নানা মন্তব্য করা হয়েছে, সেই ছবিটি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন প্রভাবশালী গণমাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট এবং ভারতের প্রভাবশালী গণমাধ্যম এনডিটিভি।

‘প্রেমিক-জুটির চুমুর ভাইরাল ছবি নিয়ে বাংলাদেশে অনেকের ক্ষুব্ধ, মার খাওয়ার পাশপাশি চাকরি হারিয়েছেন ফটোগ্রাফার’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৌসুমী বৃষ্টিতে দুই প্রেমিক-প্রেমিকার চুমুর স্বপ্নীল ছবিটি ফটো সাংবাদিক জীবন আহমেদ সোমবার নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশে ভাইরাল হয়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে ওই জুটির এমন সপ্রতিভ মুহূর্ত নিয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।

প্রতিবেদনে ফটোগ্রাফার জীবন আহমেদের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ‘ছবি তোলায় ওই যুগলের কোনো আপত্তি ছিল না।’

জীবন আহমেদ আরো বলেছেন, নৈতিকতা পুলিশিংয়ের ভুক্তভোগী হওয়া সহ্য করবেন না তিনি। তার মতে, ‘নৈতিকতার ‘বিকৃত চেতনা’ একজন শিল্পীর কাজে প্রভাব ফেলতে পারে না।’

ওয়াশিংটন পোস্টকে জীবন বলেন, ওইদিন টিএসএসিতে তিনি যখন ছবি তোলার জন্য অপেক্ষা করছিলেন, তখনই তিনি দেখতে পান বৃষ্টিতে ওই যুগল ‘‘লিপ-কিসিং’’-এ মত্ত। এরপর এক ক্লিকেই তিনি নিজের ক্যামেরায় তা ধারণ করেন। কিন্তু হতাশ হন তখন যখন বার্তাকক্ষে পাঠানোর পর সম্পাদকরা তা প্রকাশ না করার কথা বলেন এমন যুক্তি দিয়ে যে, এর মাধ্যমে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি হতে পারে।

৩০ বছর বয়সী ওই ফটোগ্রাফার বলেন, ‘আমি তাদেরকে বললাম, আপনারা ছবিটিকে নেতিবাচক হিসেবে দেখাতে পারেন না। কারণ, আমার কাছে এটি ছিল বিশুদ্ধ ভালোবাসার প্রতীক।’ পরে তিনি ছবিটি নিজের ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইলে আপলোড করেন। আর এক ঘণ্টার মধ্যেই ৫ হাজার বার শেয়ার হয় সেটি।

পরের দিন তারই কিছু ফটোসাংবাদিক সহকর্মী তাকে মারধর করেন। আর বুধবার তার বস তার কাছ থেকে আইডি ও ল্যাপটপ নিয়ে নেন কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই।

এদিকে, ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি ওয়াশিংটন পোস্টের ওই প্রতিবেদনটি শুধু শিরোনাম পরিবর্তন করে সরাসরি প্রকাশ করেছে। তাদের শিরোনামে বলা হয়েছে, ‘বৃষ্টির মধ্যে চুম্বনরত যুগলের ছবি তুললেন ফটোগ্রাফার, মার খেলেন চাকরি হারালেন’।