প্রামাণ্য চলচ্চিত্রে চরের মানুষদের জীবন
বাংলাদেশের ৩২টি জেলার ১০০টি উপজেলায় ছোট বড় অসংখ্য নদী চরে প্রায় ৬০ লাখ মানুষের বাস। প্রতি বছর চরগুলোর একটি বিরাট অংশ বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা এবং মৌলিক চাহিদা বঞ্চিত চরবাসীরা অত্যন্ত মানবেতর জীবন-যাপন করে। এই গুরুতর সমস্যাগুলো সমাধানে এক যোগে কাজ করে যাচ্ছে আরডিএর তত্ত্বাবধানে চর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ সেন্টার (সিডিআরসি)।
এই বিষয়গুলোকে সামনে রেখে আরডিএর সাবেক পরিচালক এবং সিডিআরসির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ড. একেএম জাকারিয়ার গবেষণায় ও তত্থাবধানে নির্মিত হয়েছে প্রামাণ্য চলচ্চিত্র। এখানে চরের মানুষের সমস্যা, সমাধান এবং উন্নয়ন ব্যবস্থামূলক কার্যাবলী খুব সুন্দরভাবে চিত্রায়ন করা হয়েছে।
চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা মহিউদ্দিন মোস্তফা। সিরাজগঞ্জ জেলার কয়েকটি চরে চলচ্চিত্রটির শুটিং হয়েছে। এটি নির্মাণে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
ড. একেএম জাকারিয়া বলেন , ‘এই কেন্দ্রটি চরে যারা কাজ করতে চান, চরের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন নিয়ে যারা স্বপ্ন দেখেন তাদের জন্য একটি উন্মুক্ত প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে এবং এই প্লাটফর্মে এগিয়ে এসে আমরা চরের মানুষের জীবন জীবিকার উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানাই।’
চলচ্চিত্র নির্মাতা মহিউদ্দিন মোস্তফা বলেন, ‘চরের মানুষের নিয়ে ডকুমেন্টারি নির্মাণ করা আমার জীবনের প্রথম অভিজ্ঞতা । আমরা চেষ্টা করেছি তাদের সমস্যাগুলো মানুষের সামনে তুলে ধরার এবং এই সমস্যাগুলো সমাধানে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো ক্যামেরার পর্দায় সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তলার চেষ্টা করেছি।’
অ্যাডভারটাইজিং কোম্পানি ফিল্ম ক্যাসল ওয়ার্ল্ডওয়াইড লিমিটেড- এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন