জিয়া অরফানেজ মামলায় খালেদার জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়েছেন আদালত। এই মামলায় সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি ২ অক্টোবর পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আদালত।
খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন ও আব্দুর রেজাক খান। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। গত ১২ জুলাই এ আপিল শুনানি শুরু হয়।
ঢাকার মানহানির মামলায় জামিন আবেদন মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান ও শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়ায় মামলায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেছেন খালেদা জিয়া।
বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি কাশেফা হোসেনের আদালতে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
সোমবার রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এম এ কামরুল হাসান খান (আসলাম) বলেন, আবেদনটি পেয়েছি। মঙ্গলবার শুনানি হতে পারে। ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিএমএম) মামলাটি করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী।
কুমিল্লায় নাশকতার মামলায় সাত দিনের মধ্যে জামিন অবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বিশষে ক্ষমতা আইনে নাশকতার মামলায় আদেশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতকে জামিন অবেদনটি নিষ্পত্তির নির্দেশনা দিয়ে হাইকোর্টের দায়ের করা আপিল আবেদনটি নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন আদালত।
এতে পূর্বের দেয়া জামিন আর বহাল থাকল না। তাকে নতুন করে জামিন আবেদন করতে হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা।
বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত ২৬ জুন বিশেষ ক্ষমতা আইনে কুমিল্লায় করা এক মামলায় খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিনের ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেন আপিল বিভাগ। খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দেয়া হয়।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে এ আদেশের অনুলিপি পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে খালেদা জিয়ার করা জামিন আবেদনের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টি হাইকোর্টে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। এরপর ওই আদালতে রুল শুনানি হয়।
২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চৌদ্দগ্রামে একটি কাভার্ডভ্যানে অগ্নিসংযোগ ও আশপাশের বেশকিছু যান ভাঙচুরের ঘটনায় নাশকতার অভিযোগে চৌদ্দগ্রাম থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করে পুলিশ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন