নয় ম্যাচে বাংলাদেশের মেয়েদের ৫৪ গোল!

নয় ম্যাচে বাংলাদেশের মেয়েদের ৫৪ গোল! হেডিংটা দেখে চমকে গেলেও এটাই সত্যি যে বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৫ নারী দল নয় ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ৫৪ বার বল পাঠিয়েছে বিনিময়ে গোল হজম করেছে মাত্র দুটি।

ভুটানে চলমান অনূর্ধ্ব-১৫ নারীসাফ চ্যাম্পিয়নশিপে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালের উঠেছে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে ১৪ গোলের বন্যায় ভাসিয়ে ফের নেপালকেও উড়িয়ে দেয় লাল-সবুজরা। ১৬ আগস্ট সেমিফাইনালে স্বাগতিক ভুটানকে মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ।

গত বছর ডিসেম্বরে ঢাকায় হওয়া সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ, হংকংয়ে আমন্ত্রণমূলক জকি কাপ এবং চলতি দক্ষিণ এশিয়ান আসর মিলিয়ে দারুণ ছন্দে উড়ছে মেয়েদের ফুটবল রথ। মাত্র তিনটি আসর খেলে এমন চমকপ্রদ পরিসংখ্যানের পেছনের গল্প বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন অনূর্ধ্ব-১৫ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক মারিয়া মান্ডা।

মারিয়া মান্ডা বলেন,‘সাধারণত পরিস্থিতি বুঝে গোল হয়। আমরা মাঠে থাকলে শুধু চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়েই ভাবি। গোল হলেই তো জয় হয়, ৪টা বা ৫টা দিলেও জয় পাই ৩টা গোল দিলেও জয় পাই। তবে কখনো কখনো পরিস্থিতি অনুকূলে থাকে না। যেমন টা সোমবার নেপালের বিপক্ষে ম্যাচটা।’

মারিয়া জানান,‘যখন আমরা গোল পাই না তখন আমরা সবাই মিলে বৈঠক করি। আলোচনা করে আবার ভালোভাবে খেলে ৩টি গোল দেই।’

পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে মারিয়া বলেন,‘পাকিস্তানের সাথে মূল লক্ষ্য ছিল প্রথম ম্যাচ জয়। কারণ প্রথম ম্যাচ জিতলে গ্রুপ পর্ব পার করা সহজ হয়। তাই গোল দেওয়ার বাড়তি তাড়না ছিল আমাদের।’

গত বছরেও সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। যার কারণে এবারও তাদের লক্ষ্য নিজেদের সেরাটা দিয়ে চ্যাম্পিয়নের মুকুট ধরে রাখা।

এই বিষিয়ে বিবিসিকে মারিয়া জানান,‘আত্মবিশ্বাসী হয়ে যেভাবে দলটি খেলছে সেভাবে এগুলেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশে ফেরাটা সম্ভব হবে। আর এই দলটির মূল শক্তি হলো অন্য কোনো দলকে দুর্বল না ভাবা।’

এত কম সময়ে এমন সফলতার পেছনের কারণ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণের কাছে জানতে চেয়েছে বিবিসি।

কিরণ বলেন, ‘মেয়েদেরকে নিয়মিত রুদ্ধদ্বার অনুশীলন করানো হয়। মূলত তাদের বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে মানসিক ও শারিরীক পরিচর্যা বেশি কাজে লাগছে। এভাবেই দলটিকে তৈরি করা হচ্ছে। তাছাড়া মেয়েরা ফুটবলকেই ক্যারিয়ার হিসেবে নেয়া শিখছে। এটা তাদের সফলতার একটি বড় কারণ।’