৬ ঘণ্টার পথে লাগলো ২৪ ঘণ্টা

অবশেষে ২৪ ঘণ্টা পর ঢাকা-কলকাতাগামী সরাসরি যাতায়াতকারী বিভিন্ন পরিবহনের আটকে পড়া চার শতাধিক যাত্রী বেনাপোল চেকপোস্টে পৌঁছেছে।

ঈদের ছুটিতে বিভিন্ন প্রয়োজনে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা এসব যাত্রী মঙ্গলবার সকালে সাড়ে ৭টায় ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে বুধবার ঈদের দিন সকাল ৮টায় বেনাপোল চেকপোস্টে পৌঁছায়।

যদিও আটকে পড়া যাত্রীদের গতকাল বিকেল ৫টার মধ্যে কলকাতা পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু যানজটে আটকে পড়ায় এখন তাদের একদিন পর (ঈদের দিন) গন্তব্যে পৌঁছাতে হলো।

এসব পরিবহনের যাত্রীদের মধ্যে যারা মুসলিম তাদের স্বজন ছাড়াই ঈদের নামাজ রাস্তায় আদায় করতে হয়। সড়কের অব্যবস্থাপনাকে দোষারোপ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেক যাত্রী।

সৌহার্দ্য পরিবহনের যাত্রী আব্দুলাহ আল মামুন বলেন, মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) ভোরে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে সৌহার্দ্য পরিবহনে ঢাকা থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিই। দুপুর ২টার মধ্যে বেনাপোল চেকপোস্টে পৌঁছানোর কথা ছিল বাসটির। কিন্তু পাটুরিয়া ফেরিঘাটে যানজটে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকতে হয় আমাদের। সেই সঙ্গে সড়কের বিভিন্ন স্থানে ছিল যানজট। সড়কপথে এই দুর্ভোগের কারণে নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছাতে না পারায় এদিন আমরা ভারতে ঢুকতে পারিনি।

আরেক যাত্রী শামছুর রহমান জানান, বাসটি বেনাপোল পৌঁছাতে অনেক রাত হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় আবাসিক হোটেলগুলোতে তারা কোনো সিট খালি পাননি। পরিবার-পরিজন নিয়ে বাস কাউন্টারে রাতভর জেগে কাটাতে হয়েছে। সকালে চেকপোস্ট পার হয়েছেন তারা।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, পরিবহন বিলম্বে পৌঁছানোর খবরটি সৌহার্দ্য পরিবহন কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার বিকেলে আমাদের জানালে বিষয়টি পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশকে অবহিত করি।

তারা বিশেষ বিবেচনায় রাত ৮টা পর্যন্ত যাত্রী নিতে ইমিগ্রেশন খোলা রাখার বিষয়ে আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু রাত ৮টার মধ্যে বাস পৌঁছাতে না পারায় ইমিগ্রেশন বন্ধ করে দেয়া হয়। বাধ্য হয়ে সৌহার্দ্য পরিবহনের তিনটি বাসসহ আটকে পড়া অন্য বাসের যাত্রীরা ঈদের দিন সকালে ভারতে প্রবেশ করেন।