পদ্মার ভাঙনের কবলে চরভদ্রাসন-ফরিদপুর সড়ক

পদ্মার ভাঙনের কবলে পড়েছে চরভদ্রাসন-ফরিদপুর আঞ্চলিক সড়ক। বৃহস্পতিবার সড়কটির প্রায় ১’শ মিটার নদীগর্ভে চলে যায়। গত ১ মাসের ভাঙনে এই উপজেলার সরকারি স্কুল, পাকা সড়কসহ কয়েক’শ বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরি ভিত্তিতে বালুর বস্তা ফেলার বন্দোবস্ত করলেও তাতে ঠেকানো যায়নি ভাঙন।

স্থানীয়রা জানায়, ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে সদর ইউনিয়নের এমপি ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলজিইডির পাকা সড়কটি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রবল বর্ষণের সময় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ভাঙনের ফলে চরভদ্রাসন সদরের সাথে গাজিরটেক, হরিরামপুর ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার মানুষের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। যে কোনো মুহূর্তে বিলীন হতে পারে এমপি ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আধা পাকা ভবনসহ নব-নির্মিত তিন কক্ষ বিশিষ্ট আনুভূমিক টিনের ঘর।

সরেজমিনে দেখা যায়, একদিকে প্রচণ্ড বর্ষণ অপরদিকে পদ্মার তীব্র স্রোতের তোড়ে ভেঙে নিয়ে যাচ্ছে ভাঙন রোধে অস্থায়ীভাবে পাউবো’র ডাম্পিং কাজে ফেলা বালির বস্তা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হঠাৎ করেই ভাঙন দেখা দেয়। এতে ডাম্পিংয়ের মাধ্যমে বালির বস্তা দিয়ে নির্মিত অস্থায়ী ৫০ মিটার বাঁধ এবং এরপরেই এমপি ডাঙ্গীর ১’শ মিটার পাকা সড়ক নদীগর্ভে বিলীন হয়।

স্থানীয় সাংবাদিক আবদুস সবুর কাজল জানান, এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে রাতের মধ্যেই বিলীন হবে ৭২ বছরের প্রাচীন স্কুলটিও।

স্থানীয় সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী জানান, ভাঙন কবলিত এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে বালুর বস্তা ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও তিনি বলেন, এই উপজেলার ভাঙন প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ ও নদী শাসনের জন্য ২৯৩ কোটি টাকার প্রকল্প বরাদ্দ দিয়েছেন। নদীর পানি কমলেই এই কাজ শুরু হবে।

তিনি আরো বলেন, এই স্থায়ী কাজ না হওয়া পর্যন্ত নদীর এই তীব্র ভাঙন প্রতিরোধ সম্ভব নয়। চরভদ্রাসনবাসী গত ৪০ বছর ধরে এই এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু বিগত দিনে কেউই সেই ব্যবস্থা করেননি। যার ফলে উপজেলার মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেছে বহু গ্রাম।