কুড়িগ্রামে হুজুরের ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী
মাদ্রাসার মুহতামিমের (প্রধান শিক্ষক) হাতে ধর্ষণের শিকার হয়ে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক সমালোচনা চলছে।
ঘটনাটি কুড়িগ্রাম জেলাধীন রৌমারী উপজেলার। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি হলেন- বাইটকামারী কওমি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আব্দুল বাছেদ।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে সরেজমিনে গেলে এলাকাবাসী জানান, ওই স্কুলছাত্রী চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। পবিত্র কোরআন শরীফ শিক্ষা নেয়ার জন্য সাড়ে ৫ মাস আগে বাইটকামারী কওমি মাদ্রাসায় যায় সে। এ সুযোগে আব্দুল বাছেদ ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। ছাত্রীটির শারীরিক পরিবর্তন দেখে পরিবারের লোকজন ২৯ আগস্ট রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান সে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
মেয়েটির বাবা বলেন, ‘আমি গরীব মানুষ আমার মেয়েকে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা করেছে মাদ্রাসার হুজুর। আমি কার কাছে বিচার দিমু। আমার বিচার কেড়া করবো।’
এ বিষয়ে আব্দুল বাছেদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। তার বাড়িতে গিয়েও পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. কাবেল উদ্দিন জানান, চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বার ঘটনা সম্পূর্ণ সত্য। এলাকাবাসী বসে আপোষ মীমাংসা করার কথা শুনছি। এ বিষয়ে আমার কাছে কোন পক্ষ আসে নাই।
মাদ্রাসার সভাপতি মো. আব্দুল কাদের বলেন, ‘আমি কুড়িগ্রাম ছিলাম, ঘটনা জানার পর বাড়ি আসছি। মেয়ের বাবা এখন পর্যন্ত আমার কাছে আসে নাই। মাওলানা সাব আজ মাদ্রাসায় উপস্থিত হন নাই। বাড়িতেও নাই।’
রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন