দাফনের ৮ দিন পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সেই ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার আসাদুল্লাহ নামের এক ব্যক্তির লাশ দাফনের ১০ দিন পর নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার টিপুরদী এলাকা থেকে তাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে এক সিএনজিচালক সোনারগাঁ থানায় তাকে জীবিত উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
শুক্রবার বিকালে সোনারগাঁ থানা পুলিশ সরাইল থানার এসআই জাকির হোসেন খন্দকারের কাছে জীবিত আসাদুল্লাহকে হস্তান্তর করে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
সোনারগাঁ থানার ওসি মো. মোরশেদ আলম পিপিএম জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার অরুয়াইল ইউনিয়নের অরুয়াইল গ্রামের হাজী আলী আকবরের ছেলে আসাদুল্লাহকে গত ৯ আগস্ট সরাইলের গ্যাসফিল্ড রাস্তা থেকে অপহরণের পর তাকে গুম করা হয়।
এমন অভিযোগ তুলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে গুম হওয়া আসাদুল্লাহর মেয়ে মোমেনা বেগম বাদী হয়ে অরুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কাপ্তান মিয়াকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ গত ৬ সেপ্টেম্বর অরুয়াইল ও সরাইল থানার মাঝামাঝি এলাকার চুন্টা কৈবর্তপাড়ার একটি বিল থেকে অর্ধগলিত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে। ওই লাশ আসাদুল্লাহর হিসেবে শনাক্ত করেন তার পরিবারের লোকজন। পরে ময়নাতদন্ত শেষে গ্রামের বাড়িতে আসাদুল্লাহর লাশ দাফন করা হয়। লাশ দাফনের ১০ দিন পর গত বৃহস্পতিবার রাতে সোনারগাঁয়ে তাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
সরাইল থানার এসআই জাকির হোসেন খন্দকার বলেন, আসাদুল্লাহ অপহরণের পর গুম, তার লাশ উদ্ধার নিয়ে সরাইল এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছিল।
আসাদুল্লাহর লাশ দাফনের পরদিন তার মেয়ে মোমেনা আক্তার বাদী হয়ে অপহরণের পর হত্যা ও লাশ বিলে ফেলে দেয়ার অভিযোগ এনে একটি মামলাও দায়ের করেন।
তিনি আরো জানান, আসাদুল্লাহ ধূর্ত প্রকৃতির লোক। তাকে সোনারগাঁ থানা থেকে আমাদের হেফজতে নেয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন