জরিপ করিয়েছি, আমাদের অবস্থা ভালো : প্রধানমন্ত্রী
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে তিনি জরিপ চালিয়ে দেখেছেন আওয়ামী লীগের অবস্থান ভালো। দুই-চারজন সাংসদ বাদে প্রায় সবারই জনপ্রিয়তা বেড়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
শনিবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রথম সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘একাদশ সংসদ নির্বাচনে দেশের জনগণ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করবে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার জন্যই মানুষ আবার নৌকায় ভোট দেবে।’ তিনি বলেন, ‘আমি ছয় মাস পরপর সার্ভে রিপোর্ট করছি। আমাদের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। প্রার্থীদের ব্যাপারে খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। দুই একজন বাদে অধিকাংশ এমপির অবস্থা ভালো।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘টানা দুইবার ক্ষমতায় থাকা এবং সেইসাথে জনপ্রিয়তা ধরে রাখা সচরাচর হয় না। কিন্তু আমরা পেরেছি। কারণ, জাতির জনক আমাদের সেই আদর্শ শিখিয়েছেন। দিনরাত আমি মানুষের জন্যই কাজ করছি।’
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘যারা সরকারের কোনো উন্নয়ন দেখে না তারা চোখ থাকতে অন্ধ। তাদের মনের দরজা বন্ধ। এ সরকারের ভালো কাজ তাদের চোখে পড়ে না। যারা মানুষ হত্যা করে, গ্রেনেড হামলা করে, অর্থ লুটপাট করে তাদেরই তারা পছন্দ করে।’
‘তারা থাকেন কিছু একটা আশায়। যদি কিছু একটা হয়। কিন্তু উত্তরপাড়ার দিকে তাকিয়ে থেকে লাভ নেই। উত্তরপাড়া থেকে কেউ সাড়া দেবেন না। তাদের কেউ ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে না। এমন মানসিকতা কারোর নেই। তবে কেউ যদি আমাকে এসে মেরে ফেলে ফেলতে পারে। যেমনটি পঁচাত্তরে করেছিল।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের প্রবৃদ্ধি বেড়েছে, দারিদ্রহার কমেছে, শস্য উৎপাদনে আমরা এগিয়ে গেছি। কিন্তু এসব ভালো কাজ তাদের চোখে পড়ে না।’
‘আমরা ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ থেকে ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছি। মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি। এসব উন্নয়ন কারো চোখে পড়ে না।’
আলোকচিত্রী শহীদুল আলমের গ্রেপ্তার সম্পর্কে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের প্রথম দুই দিন খুবই ভালো ছিল আন্দোলন। পুলিশ, আমার দলের নেতাকর্মী, এমপি-মন্ত্রীদের বলেছিলাম- ধৈর্য ধরুন। শিক্ষার্থীরা যা বলে তা শুনুন। কিন্তু এর মাঝে তৃতীয় পক্ষ নেমে গেল রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য। একজন আঁতেল তো আল জাজিরা টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দিলেন, এখানে নাকি গণহত্যা চলছে। আল জাজিরা ক্ষমা চাইল তাদের ভুল সংবাদ পরিবেশনের জন্য।’
‘আবার কেউ ফেসবুকে বললেন, নারীদের ধর্ষণ করা হচ্ছে। তিনি যেখান থেকে বললেন, পেছনে তো অন্য সাইনবোর্ড ছিল। দরজিপাড়ায় স্কুলড্রেস বানানোর ধুম পড়ে গিয়েছিল, পলাশীতে ভিড় আইডি কার্ড বানানোর। এদের অপপ্রচারের কারণে আমার পার্টি অফিসে হামলা হলো। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হলো। যারা গুজব রটিয়েছে মিথ্যাচার করেছে তাদের বিরুদ্ধে তো ব্যবস্থা নেবই।’
প্রধানমন্ত্রীর সূচনা বক্তব্যের পর রুদ্ধদার বৈঠক শুরু হয়। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য, সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন