মা বললেন মেয়ের পেট ফাঁপা, ডাক্তার বললেন গর্ভবতী
গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভা এলাকায় ধর্ষণের শিকার হয়ে তৃতীয় শ্রেণির এক শিশু শিক্ষার্থী (১০) সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে।
এ ঘটনায় মামলা হলে জহিরুল ইসলাম (৩৫) নামের এক যুবককে রোববার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার জহিরুল পৌর এলাকার গিলারচালা গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে।
অন্তঃসত্ত্বা শিশুর স্বজনদের বরাত দিয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মফিজ মল্লিক বলেন, ওই শিশু স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। জহিরুল ইসলামদের জমিতে ঘর তুলে বসবাস করে আসছিল শিশুর পরিবার। সাত মাস ধরে বিভিন্ন সময় শিশুটিকে বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার পথে ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে জহিরুল ইসলাম। শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন হলে দুদিন আগে বিষয়টি পরিবারকে জানায় শিশুটি।
শিশুটির মা বলেন, শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন হওয়ায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। মেয়ের পেট ফাঁপার বিষয়টি ডাক্তারকে জানালে পরীক্ষা করে অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি ধরা পড়ে। পরে মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনা খুলে বলে। এ ঘটনা প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জহিরুলের পরিবার আমাদের বাড়ি ছাড়ার হুমকি দেয়।
শ্রীপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদুল ইসলাম বলেন, শিশুটিকে ধর্ষণের ঘটনায় তার মা বাদী হয়ে রোববার রাতেই মামলা করেছেন। ধর্ষককে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। শিশুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শিশুর অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি নিশ্চিত করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক প্রণয় ভূষণ দাস বলেন, শিশুটির পেট ফাঁপার কথা তার মা জানালে পরীক্ষা করে দেখা যায় শিশুটি সাত মাসের গর্ভবতী।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন