বাঁচতে চায় মেহেদী, প্রয়োজন একটু সহানুভূতি
ইমদাদুল হক মিরন, কুবি প্রতিনিধি : হোরেস মান এর একটা বাণী আছে ‘মানব কল্যাণে কিছু করে যাবার আগে মৃত্যু লজ্জার ব্যাপার’। আসলেই মানুষ হয়ে মানুষের পাশে না দাঁড়ানো মানবজাতিরই ব্যর্থতা। আর এই পাশে দাড়ানোর প্রত্যাশায়ই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ক্যান্সারে আক্রান্ত শিক্ষার্থী তানিন মেহেদী। মানবতাই তার শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে রয়েছে।
চাঁদপুরের সন্তান তানিন মেহেদী। ছোট বেলা থেকেই করে আসছে জীবন যুদ্ধ। পরিবার বলতে তার মা আর বোন। নিজ প্রচেষ্টায় পড়াশুনা এতদূর। যেতে চান আরো বহুদূর, কিন্তু কিছু একটা যেন থামিয়ে দিতে চায় তাকে।
পায়ের টিউমারের অপারেশন এর পর ২০১৬ থেকে ক্যান্সারে আক্রান্ত মেহেদী। কিন্তু সদা হাস্য মাখা মুখ দেখে বুঝবার জো নেই তার ভিতরের যন্ত্রনাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর সহপাঠীরা জানতে পারে তার ক্যান্সার আক্রান্তের কথা। বিভাগের শিক্ষক আর সকল ছাত্রছাত্রীদের অদম্য পরিশ্রমে সংগ্রহ করা হয় আর্থিক অনুদান। রাস্তা, ঘাট, স্টেশন সব জায়গায় গিয়েই অর্থ সংগ্রহ করে। চিকিৎসার জন্য ভারতের মোম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে পাঠানো হয় সবার সহযোগিতায়।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর অপারেশন শুরুর পর দেখা দেয় আরো জটিলতা। অপারেশন প্রয়োজন হয় আরো একটি। এখন হাসপাতালে বাকী পড়ে আছে প্রায় দেড় লাখ রুপী। টাকা জমা না দিলে মিলছেনা ছাড়পত্র। এ ছাড়া ও অপারেশন পরবর্তী থেরাপী, ওষুধ পত্র এবং ভারতে তিনমাস অবস্থান সব মিলিয়ে আরো প্রায় ৬ লাখ টাকার প্রয়োজন।
জীবনের নির্মম দিকটিই দেখছেন মেহেদী। তাকে এ অবস্থা থেকে তুলে আনার দায়িত্ব আমাদেরই। আমরাই পারি এমন অনেক মেহেদীকে ফিরিয়ে আনতে, শুধু দরকার ইচ্ছা আর মানব অনুভূতির।
হাসি মুখে মায়ের কোলে ফিরে আসবে মেহেদী। ক্যাম্পাস মাতাবে আড্ডায়। এই ছেলেটাই একদিন অনেক বড় অবদান রাখবে দেশের প্রয়োজনে, সে বুঝবে জীবন কী, আরো কয়েকটা জীবন হয়তো তার টাকায় ই বাঁচবে। ফিরে আসুক মেহেদী।
মেহেদীকে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য পাঠাতে পারেন নিচের ব্যাংক হিসাব নম্বর, বিকাশ ও রকেটে।
→ ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট নং -২৭৩১০৫০৯০৩
( ময়নামতি ব্রাঞ্চ, কুমিল্লা)
→ বিকাশ- ০১৭৬৫৫৬৬৬১৬।
→ রকেট – ০১৭৬৫৫৬৬৬১৬২।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন