নৌবাহিনীর স্থপতি রিয়ার অ্যাডমিরাল মুশাররফ হুসাইন খানের জানাজা সোমবার
শাদমান মাহতাব কিবরিয়া : বাংলাদেশ নৌবাহিনীর স্থপতি রিয়ার অ্যাডমিরাল মুশাররফ হুসাইন খান (এম এইচ খান) আর নেই। ঢাকা সেনানিবাসে অবস্থিত সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শনিবার (১৩ অক্টোবর) ভোর চারটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
তিনি স্ত্রী, এক ছেলে এবং দুই নাতি সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। আগামীকাল সোমবার (১৫ অক্টোবর) সকাল দশটায় নিউ ডি.ও.এইচ.এস মহাখালীর বাসভবনে মরহুমের মরদেহ নেওয়া হবে। বাদ যোহর বিএনএস হাজি মহসীন জামে মসজিদে মুশাররফ হুসাইন খানের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে এবং বাদ আসর এম.এইচ.কে টার্মিনাল, বাংলামোটর জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় জানাজা । তারপর বাংলামোটর পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করার কথা পারিবারিকভাবে জানিয়েছেন, মরহুমের ঘনিষ্ঠজন সালমা কিবরিয়া এবং শাদমান মাহতাব কিবরিয়া।
এদিকে, এম এইচ খানের মৃত্যুতে নৌবাহিনীর সর্বস্তরের সদস্যরা ছাড়াও সমাজের বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ গভীর শোক প্রকাশ করেন। তারা দেশ-মাতৃকার এই কৃতি সন্তানের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সকল সদস্যকে সমবেদনা জানিয়ে তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
রিয়ার অ্যাডমিরাল এমএইচ খান ১৯৩২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫৪ সালের ১ জানুয়ারি নৌবাহিনীতে যোগদান করেন। এমএইচ খান ১৯৭৩ সালের ৭ নভেম্বর থেকে ১৯৭৯ সালের ৩ নভেম্বর পর্যন্ত নৌপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। নৌপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ১৯৭৪ সালের ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বৃহত্তম প্রশিক্ষণ ঘাঁটি বানৌজা ঈসা খানকে কমিশনিং এবং নৌবাহিনীকে ‘নেভাল এনসাইন’ প্রদান করেন। তাছাড়া জাতির পিতার দিকনির্দেশনায় নৌ সদর দপ্তর প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী নৌবাহিনী গড়ার সূত্রপাত তার সময়ে শুরু হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন