নববধূ পার্লারে, মাংসের জন্য বরপক্ষ ব্যস্ত ভাঙচুরে
কথা ছিল বরযাত্রায় আসবেন ৩০০ জন। কথা থাকলেও তা মোটেই মানেন নি বরের পরিবার। পাঁচ শতাধিক লোক নিয়ে বিয়ে করতে যান কক্সবাজার সদর সদরের খুরুস্কুল পেশকার পাড়ার আবদু শুক্কুরের ছেলে আলমগীর হোসেন। কনে পার্শ্ববর্তী চৌফলদন্ডী উত্তর পাড়ার প্রবাসী আমির হামজার মেয়ে উম্মে সাদিয়া।
বরপক্ষে ছিলেন ৫০০ লোক, সাথে কনে পক্ষের অতিথিও কম নয়! আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। বরপক্ষকে খাবার পরিবেশনের সময় মাংসে দেখা দেয় ঘাটতি। মাংস কম পাওয়ায় বর পক্ষের লোকজন শুরু করে ব্যাপক হট্টগোল। এক পর্যায়ে কনেপক্ষের উপর হামলা করে তারা। এসব করেও ক্ষান্ত হয়নি বরের লোকজন। আসবাবপত্র ভাঙচুর, এমনকি অবশিষ্ট খাবারও নষ্ট করে দেয় বরের লোকজন।
বুধবার (১৭ অক্টোবর) বিকাল ৪টার দিকে কক্সবাজারের ঈদগাঁও আলমাছিয়া সড়কে অবস্থিত প্রিন্স অব ঈদগাহ কমিউনিটি হলে এ ঘটনাটি ঘটে।
ভাঙচুরে বাধা দেওয়ায় বিয়ের কমিউনিটি সেন্টারের ম্যানেজারকে ছুরিকাঘাতও করে বরের লোকেরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খাবারের সংকট পড়ায় বরপক্ষের লোকজন তরকারির বাটি ছুঁড়ে মারে ও হট্টগোল শুরু করে। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে বরপক্ষের লোকজন কনেপক্ষের উপর হামলা চালায়।
হাঙ্গামার পর বরপক্ষের লোকজন পালিয়ে যায় বলে জানান কনের আত্মীয় আবুল হোসেন।
খবর পেয়ে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই শাহাজ উদ্দীন ও এএসআই লিটনুর রহমান জয় ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
হাঙ্গামার সময় নববধু ছিলেন স্থানীয় একটি পার্লারে। আর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বরসহ তার কয়েকজন স্বজন কমিউনিটি সেন্টারেই অবস্থান করেন।
বর আলমগীরের বাবা আবদু শুক্কুর জানান, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। বউ ঘরে তোলার প্রক্রিয়া চলছে।
ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই লিটনুর রহমান জয় জানান, খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। বর-কনে পক্ষ নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবে।
এর আগে সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় বিয়ের খানার আইটেমে চিংড়িমাছ না পেয়ে লংকাকাণ্ড ঘটিয়ে দেন বর।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন