ড. কামালকে দুইবার মনোনয়ন দিয়ে ঠকেছি : তোফায়েল
আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা তোফায়েল আহমেদ জানিয়েছেন নবগঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেনকে আওয়ামী লীগ দুই বার দুটি আসনে মনোনয়ন দিলেও তিনি জিততে পারেননি। যদিও পরে সেসব আসনে অন্য প্রার্থী দিয়ে জিতেছে দলটি।
শনিবার ভোলা সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা যুব মহিলা লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি সভায় এ কথা বলেন ক্ষমতাসীন দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য।
তোফায়েল জানান, স্বাধীন বাংলাদেশে কামাল হোসেন কেবল বঙ্গবন্ধুর ছেড়ে দেয়া আসনে জিতেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। কিন্তু সরাসরি ভোটে তাকে জনগণ ভোট দেয়নি।
‘আমরা তাকে ১৯৮৬ সালে মনোনয়ন দিয়েছিলাম (ঢাকার ডেমরা-যাত্রাবাড়ী আসন), তিনি হেরে গেছেন। ৯১ সনে মনোনয়ন দিয়েছিলাম (ঢাকার মিরপুর আসনে) আবার তিনি হেরে গেছেন। কিন্তু পরে আমরা দুইটি আসনেই জিতেছি।’
ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে আসবে বলে আশা করেন তোফায়েল। বলেন, ‘আমি আশা করব এ জোট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। যদি আবার ২০১৪ সালের মত অরাজকতা সৃষ্টি করতে চায় তাহলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দক্ষতার সাথে জনগণের জান মাল হেফাজত করবে।’
জোটে বিএনপিকে নেয়ায় কামাল হোসেনের সমালোচনাও করেন তোফায়েল। বলেন, ‘তিনি জোট করেছেন তাদের সাথে, যারা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে শেখ হাসিনাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছিল। জোট করেছেন তাদের সাথে, যারা ২১ আগস্ট ২৪ জনকে হত্যা করেছে। জোট করেছেন তাদের সাথে, যাদের বিচারে যাবজ্জীবন কারাদ- হয়েছে। জোট করেছেন তাদের সাথে, যারা ৭১ সনে স্বাধীনতাবিরোধী ও মা বোনের ইজ্জত লুট করেছে। তাদের কোন লক্ষ্য নাই উদ্দেশ্য নাই।’
কামাল হোসেনকে নেতা মেনে জোট করায় বিএনপিকে নিয়েও কটাক্ষ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘বিএনপি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মূল পরিকল্পনাকারীকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বানিয়েছে। দৈন্যতায় ভোগা একটা দলে যোগ্য কোন লোক নাই বলেই ড. কামাল হোসেনের মতো একজন দল ত্যাগকারীকে নেতা হিসেবে বেছে নিয়েছে। যিনি কখনো সরসরি নির্বাচনে জয়ী হতে পারেননি। তাদের যে ঐক্যজোট ৭ দফা দিয়েছে তার সব কয়টি সংবিধান পরিপন্থী। কোনটাই গ্রহণযোগ্য নয়।’
‘তাদের শুধু একটা দফা দেয়ার বাকি ছিল। সেটা হলো ‘আমাদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে দেন।’
ভোলা জেলা যুব মহিলা লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক খাদিজা আক্তার স্বপ্নার সভাপতিত্বে আয়োজনে আরও বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম, ভোলা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মমিন টুলু।
বাণিজ্যমন্ত্রীর সহধর্মিনী ও নারী জাগরণের অগ্রপথিক আনোয়ারা আহম্মেদ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পরে খাদিজা আক্তার স্বপ্নাকে আহ্বায়ক ও নাজনিন আক্তার রুমাকে সদস্য সচিব করে ১১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচনের জন্য কাজ করার জন্য আহ্বান জানানো হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন