চোখের পলকে হাওয়া পৌনে ২ লাখ টাকা
জিপিও, ডাক বিভাগের প্রধান দফতর হিসেবে এটি ব্যবহার করা হয়। গুলিস্তানের মতো ব্যস্ততম এলাকায় অবস্থিত এই কার্যালয়ে প্রতিদিন হরেক রকম লোকের আনা গোনা।
সম্প্রতি এখানেই লাল শার্ট পরিহিত এক প্রতারক প্রকাশ্যে সৌদি প্রবাসী এক নারীর ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে চম্পট দিয়েছেন।
সোমবার সিসি ক্যামেরায় ধারণ হওয়া অজ্ঞাত পরিচয়ের ওই প্রতারক ব্যক্তির ছবি প্রকাশ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
উল্লেখিত ব্যক্তির কোনো পরিচয় কিংবা সংবাদ পাওয়া গেলে পল্টন মডেল থানায় (ওসি-০১৭১৩-৩৭৩১৫৫) যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
পল্টন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুল হক বলেন, গত ১৬ আগস্ট সুরাইয়া খান নামে এক নারী বাদী হয়ে আমাদের থানায় একটি মামলা করেন। ওই নারীর মা সৌদি প্রবাসী। তার মায়ের নামে জিপিওতে (পোস্ট অফিস) তিন বছর মেয়াদী একটি একাউন্ট আছে। ওই একাউন্টে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা জমা দেয়ার সময় সিসি ফুটেজের লাল শার্ট পরিহিত ব্যক্তি টাকা হাতিয়ে পালিয়ে যান।
উল্লেখিত ব্যক্তির পরিচয় জানা না থাকায় তাকে গ্রেফতারে পুলিশকে সহায়তা করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, বাদী সুরাইয়ার মায়ের নামে জিপিওতে তিন বছর মেয়াদী একাউন্টে লভ্যাংশসহ ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা জমা হয়। তার মা আরো ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা জমা দেয়ার জন্য গত ১৩ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টায় তার বড় ভাই সাব্বিরকে নিয়ে জিপিওতে কাউন্টারে দাঁড়িয়ে থাকেন।
তার মা কাউন্টারের ভেতরে জনৈক সুদিস বাবুর কাছে গিয়ে বলেন, ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা জমা দেব। তখন সুদিস বাবু বলেন, অপেক্ষা করুন। প্রায় ১০ মিনিট অপেক্ষা করার পর লাল শার্ট পরিহিত অজ্ঞাতনামা লোকটি সুরাইয়াকে বলেন, আপনি কাউন্টার থেকে বের হন এবং তার মাকে ৩৬ নাম্বার কাউন্টারে টাকা জমা দেয়ার জন্য যেতে বলেন।
সুরাইয়া তার মাকে নিয়ে ৩৬ নাম্বার কাউন্টারে গেলে লাল শার্ট পরিহিত লোকটি তাদের কাছ থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে সুদিস বাবুর কাছ থেকে রিসিপ্ট বুঝে নেয়ার জন্য বলেন। একথা বলেই সে কাউন্টার থেকে বের হয়ে চলে যেতে থাকেন। এ সময় ভুক্তভোগীরা অনেক ডাকাডাকি, চিৎকার চেঁচামেচি করেও অজ্ঞাতনামা লোকটিকে ধরতে পারেননি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন