‘তফসিল নয়, সব দল চাইলে নির্বাচন পেছানো যেতে পারে’

তফসিল পেছানোর সুযোগ নেই। তবে সব দল চাইলে নির্বাচন পেছানো যেতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।

মঙ্গলবার আগারগাঁওস্থ ইটিআই ভবনে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি এ কথা বলেন।

ইটিআই মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুকের সভাপতিত্বে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির এ অনুষ্ঠানে পরিচালক ফরহাদ হোসেনসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচন পেছানোর বিষয়ে সিইসি বলেন, তারা (ঐক্যফ্রন্টের নেতারা) বলেছেন, ৭ তারিখে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাদের সংলাপ রয়েছে সেটি আমলে নিতে, আমরা সেটি নিয়েছি।

তাহলে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতকে গুরুত্ব দেবেন নাকি- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একক দল নয়, বাংলাদেশের যত রাজনৈতিক দল আছে সবাই যদি বলে তাহলে নির্বাচন পেছানো যেতে পারে। জানুয়ারির ২৮ তারিখের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা আছে। এর মধ্যে সকল রাজনৈতিক দল যদি বলে নির্বাচন কয়েক দিন পিছিয়ে দেন, তখন পিছিয়ে দেয়া যাবে।

২৮ জানুয়ারি তো দূরে আছে, এক্ষেত্রে আপনাদের হাতে অনেকটা সময় আছে, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সিইসি বলেন, সময় থাকে না। কারণ নির্বাচনের জন্য জানুয়ারি মাসটা নানা কারণে ডিস্টার্ব মাস। জানুয়ারি মাসে বিশ্ব ইজতেমা হয়। আমি যতদূর জানি, দুই দফায় (ইজতেমা হয়)। এ কারণে ১৫ থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। এখানে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পুলিশ, র‌্যাব নিয়োগ করা হয়। ১ তারিখের পর থেকে স্কুলগুলো খোলা থাকে। এ ছাড়া এ সময়ে অনেক শীত ও কুয়াশা থাকে। এ জন্য চর ও হাওড় অঞ্চলে ঝুঁকি থাকে। সে কারণে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হওয়া উচিৎ বলে আমরা মনে করি।

বিএনপির গঠনতন্ত্রের বিষয়ে সিইসি বলেন, আমরা আদালতের নির্দেশনা পালন করব।

পোলিং এজেন্টদের তালিকা দিলে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে এমন আশঙ্কা রয়েছে অনেক রাজনৈতিক দলের। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, তালিকা দিলে গ্রেপ্তার করা হবে এমন কোনো কথা নেই। এরপরও তারা তালিকা দিলে দেবে, না দিলে না দেবে। তারা যদি পোলিং এজেন্ট না পাঠান আমরা তো জোড় করে আনব না।

তিনি বলেন, আতঙ্কের বিষয় আমি জানি না। এটা অমূলক বিষয়। আমাদের সব সময় নির্দেশনা থাকে অযথা কাউকে গ্রেপ্তার না করা, মামলা না দেয়া, হয়রানি না করার। এবার তাই থাকবে।

এর আগে প্রশিক্ষণ উদ্বোধনকালে সিইসি বলেন, সীমিত আকারে শরাঞ্চলে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। তবে কোথায় ব্যবহার করা হবে এটি কমিশনের হাতে থাকবে না। দ্বৈবচয়নের মাধ্যমে এটি করা হবে।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে সিইসি বলেন, ইভিএম ব্যবহারে যদি দেখেন ভোটারদের স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে না, তাহলে আমাদেরকে জানাবেন। আমরা স্বার্থ রক্ষা না হলে ভোটারদের ওপর এটি জোড় করে চাপিয়ে দেব না।