বছরে সাড়ে চার কোটি মোরগ ছানা হত্যা করে জার্মানি!
জার্মানিতে মোরগ ছানা মেরে ফেলা হচ্ছে বিভিন্ন হ্যাচারিতে। এ সংখ্যা নেহায়েত কম নয়।
দেশটির সংবাদ মাধ্যম ডয়েচে ভেলে জানিয়েছে, জার্মানিতে প্রতিদিন গড়ে এ হাজার মোরগ ছানা মেরে ফেলা হয়।
এভাবে বছরে প্রায় সাড়ে চার কোটি বাচ্চা মোরগ মেরে ফেলছে হ্যাচারিগুলো।
এর কারণ হিসেবে জানা গেছে, যেহেতু এসব মোরগ থেকে ডিম উৎপাদন হবেনা। তাই এদেরকে বড় করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়না হ্যাচারিগুলো।
এছাড়াও এসব মোরগের মাংস ব্রয়লারের মোরগের মতো ভালো নয় বলে এদের বাজার চাহিদা খুব কম।
আর এসব কারণেই দেশটির পোলট্রি ব্যবসায়ীরা মোরগ ছানাকে মেরে ফেলে।
গণহারে বাচ্চা মোরগ হত্যা বিষয়টিতে উদ্বিগ্ন দেশটির সরকারসহ পশু সংরক্ষণ কর্মীরা।
এভাবে মোরগ বাচ্চা মেরে ফেলা কমানোর বেশ কিছু গবেষণা চালিয়েছে দেশটি।
ইতোমধ্যে একটি উপায় বের করেছেন দেশটির গবেষকবৃন্দ।
গণহারে বাচ্চা মোরগ হত্যা না করে উৎপাদিত ডিম আগে পরীক্ষা করে জার্মানির বাজারে ছাড়ার উদ্যোগ নিয়েছেন তারা।
গবেষকরা প্রথমেই জানতে চান ডিমটি থেকে মোরগ না মুরগীর ছানা ফুটবে।
এ লক্ষ্যে জার্মানির কৃষি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে লাইপসিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক নতুন এক উপায় আবিষ্কার করেছেন যা ব্যবহার করে একটি ডিম পরীক্ষা করেই বোঝা যাবে যে এটি ফুটে মোরগ নাকি মুরগী বেরুবে।
নতুন পদ্ধতিতে ডিমের খোলসে সুক্ষ্ম ফুটো করে কিছু তরল বের করে পরীক্ষা করা হয় এবং এ থেকে বোঝা যায়, এই ডিম ফুটে মোরগ নাকি মুরগি বের হবে।
মোরগ ডিমগুলো তখনই আলাদা করে নেয়া হবে।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাজধানী বার্লিনে দেশটির কৃষিমন্ত্রী ইউলিয়া ক্ল্যোকনার বলেন, এখন থেকে আর মোরগ হত্যা হবেনা।
কেননা এই পন্থায় যে ডিমটি মোরগ বলে জানা যাবে তা উচ্চমানের প্রাণীখাদ্য তৈরি করা হবে। তাকে আর ফুটতে দেয়া হবেনা।
ইতোমধ্যে কিছু হ্যাচারিতে এ পন্থা ব্যবহার শুরু হয়েছে বলে জানান ইউলিয়া ক্ল্যোকনার।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন