ধানের শীষ ২৫০ আসনে এগিয়ে রয়েছে : মিনু

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ ভোটের ব্যবধানে অন্যদের থেকে ২৫০ আসনে এগিয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহী-২ (সদর) আসনে বিএনপির প্রার্থী মিজানুর রহমান মিনু।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষ্মীপুর এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণাকালে মিজানুর রহমান মিনু এ কথা বলেন। রাজশাহী মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক নাজমুল হক ডিকেনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ কথা জানা যায়।

দেশে বিএনপির পক্ষে গণজোয়ার শুরু হয়েছে জানিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, ‘এই জোয়ারে বালির বাঁধের ন্যায় নৌকা ভেসে যাবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিদেশি জরিপকারী সংস্থার তথ্য অনুযায়ী এবারের নির্বাচনে ২৫০ আসনের প্রত্যেকটিতে বিএনপি ৫০ হাজার থেকে এক লাখ ভোটে এগিয়ে আছে। এ অবস্থায় সমুদ্রে নৌকা ডুবে যাওয়ার ভয়ে আওয়ামী লীগ মহাসংকটে পড়ে গেছে।

আওয়ামী লীগের তরী আর তীরে ভিড়বে না। নির্বাচনে নিশ্চিত হেরে যাওয়ার শঙ্কায় তারা এখন নির্বাচন বানচালের গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। দেশব্যাপী বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে, প্রচারণায় বাধা প্রদান করছে। পোস্টার, লিফলেট ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলছে। নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করছে।’ বলেন মিনু।

রাজশাহীবাসীর উন্নয়নে নিজের ভূমিকার কথা স্মরণ করে সাবেক সিটি মেয়র বলেন, রাজশাহীর যা কিছু উন্নয়ন তা বিএনপির আমলে হয়েছে। দীর্ঘ ১৭ বছর মেয়র ও সাংসদ থাকাকালীন তিনি নতুন নগর ভবন, কৃষি ব্যাংক, আরডিএ ভবন, মডেল বোর্ড স্কুল, শিক্ষা বোর্ড স্কুল, রেলওয়ে স্টেশন, কোর্ট নিউ মার্কেট, আদালত ভবন, ডিসি অফিস, জিয়া পার্ক, নওদাপাড়া বাস টার্মিনাল, আম চত্বর, বড় মসজিদ, ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।

এ ছাড়াও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য প্রশস্ত রাস্তা, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশনে ড্রেনেজ সিস্টেমসহ গ্রিন সিটি হিসেবে নগরীকে গড়ে তুলতে তাঁর আমলে ব্যাপক বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ নেওয়া হয় বলে জানান মিনু।

এবারের নির্বাচনে জয়লাভ করলে রাজশাহীর বেকারত্ব সমস্যা দূর করার প্রতিশ্রুতি দেন বিএনপির এই নেতা। এ ছাড়া নগরীর বস্তিবাসীর উন্নয়নসহ প্রতিটি গলির রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নেরও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

নগরীর উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির প্রয়োজনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের জনগণের কাছে ধানের শীষে ভোট প্রার্থনা করেন সাবেক সাংসদ। একইসাথে দলীয় নেতাকর্মীদের সহনশীলভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর পরামর্শ দেন তিনি।

সাবেক মেয়রের এ প্রচারণাকালে এলাকাজুড়ে উৎসবের পরিবেশ তৈরি হয়। প্রতিটি বাড়ির মানুষ রাস্তায়, ছাদে ও বারান্দায় চলে আসেন তাঁকে এক নজর দেখতে ও শুভেচ্ছা বিনিময় করতে।

এলাকাবাসী এ সময় নেতার কাছে নিজেদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হলে সে সব সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন মিজানুর রহমান মিনু। দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এ সময় খালেদা জিয়ার মুক্তি ও ধানের শীষে ভোট চেয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, রাজপাড়া থানা বিএনপির সভাপতি শওকত আলী, সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুরাদ পারভেজ পিন্টু, ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী গোলাপ, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিন্টু, সিনিয়র সহ-সভাপতি তারিক; ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ওয়াজির উজির, মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নেতা ওয়ালিউল হক রানা, ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শহীদ আলম, সাধারণ সম্পাদক শামীম রেজা, সহ-সভাপতি ফজলুর রহমান; ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বজলুর রহমান কচি, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান এ সময় মিজানুর রহমান মিনুর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়াও মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হাসনাইন হিকোল, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন, সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, সহ-সভাপতি আবু হেনা মোহাম্মদ শাহীন রান্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বাবলু, হাফিজুর রহমান আপেল; জেলা যুবদলের সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন; মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জাকির হোসেন রিমন, সাধারণ সম্পাদক আবেদুর রেজা রিপন; মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জমান জনি, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাহিন; মহিলা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সিটি নারী কাউন্সিলর মুসলেমা বেলী, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম জনি, যুবনেতা রুবেল এবং বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী-সমর্থকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।