মেসির হ্যাটট্রিকে বার্সেলোনার বিশাল জয়
আরও একবার জ্বলে উঠলেন লিওনেল মেসি। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আলো ছড়ালেন তিনি। জাদুকরী ফুটবলে মুগ্ধ করলেন ফুটবলপ্রেমীদের। অসাধারণ এক হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে করালেন ২ গোল। তাতে স্রেফ উড়ে গেল লেভান্তে। দলটিকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে বার্সেলোনা।
রোববার রাতে লেভান্তের মাঠে আতিথ্য নেয় বার্সা। শুরুতেই স্বাগতিকদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন কাতালানরা। মুহুর্মুহু আক্রমণে প্রতিপক্ষকে ব্যতিব্যস্ত রাখেন তারা। তবে গোলমুখ খুলছিল না। অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ হয় ৩৫ মিনিটে। মেসির বাড়ানো ক্রসে দুর্দান্ত ভলিতে নিশানাভেদ করেন লুইস সুয়ারেজ।
লিড পাওয়ার পর আরও ক্ষুরধার হয়ে ওঠে বার্সার আক্রমণ। ফলে ব্যবধান বাড়তেও বিলম্ব হয়নি। ৪৩ মিনিটে একক নৈপুণ্যে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মেসি। নিজেদের সীমানা থেকে সার্জিও বুসকেটসের বাড়ানো বল ধরে দ্রুত ডি-বক্সে ঢুকে পেছনে ছুটে আসা রক্ষণসেনাকে কোনো সুযোগ না দিয়ে ডান পায়ের কোনাকুনি শটে বল ঠিকানায় পাঠান তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধেও সেই বার্সা। ফলে ফের গোল পেয়ে যায় তারা। দ্বিতীয় মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করেন মেসি। এতে ম্যাচের লাগাম চলে যায় অতিথিদের হাতে। ৪৭ মিনিটে ডি-বক্সে জর্দি আলবার পাস ধরে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ছোট ম্যাজিসিয়ান।
এখানেই মেসি ম্যাজিক শেষ হয়নি। ৬০ মিনিটে আবার তার ঝলক। গোলমুখে আর্তুরো ভিদালের বল পেয়ে বাঁ পায়ের টোকায় জালে জড়িয়ে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ফুটবলের বরপুত্র। এখানেই মূলত বার্সার জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। এ নিয়ে লা লিগার চলতি আসরে সর্বোচ্চ ১৪ গোল করলেন মেসি। পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে সর্বোচ্চ ১০ গোল করিয়েছেন তিনি। ১১ গোল নিয়ে আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের পরে আছেন উরুগুইয়ান সুয়ারেজ।
৪-০ গোলে পিছিয়ে পড়লে পক্ষান্তরে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় লেভান্তে। ৭৬ মিনিটে উসমানে ডেম্বেলেকে ভয়াবহ ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন এরিক কাবাকো। ফলে ১০ জনের দলে পরিণত হন স্বাগতিকরা। ফের তাদের গোল হজম করতে হয়। ৮৮ মিনিটে মেসির পাস ধরে একজনকে কাটিয়ে প্রতিপক্ষ শিবিরে কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকেন জেরার্ড পিকে। তার সফল লক্ষ্যভেদে বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন আর্নেস্তো ভালভার্দের শিষ্যরা।
দাপুটে এ জয়ে ১৬ ম্যাচে ১০ জয় ও চার ড্রয়ে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বার্সেলোনা। সেভিয়া ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের পয়েন্টও সমান ৩১ করে। তবে গোল ব্যবধানে এগিয়ে দুইয়ে আছে সেভিয়া। ২৯ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে রিয়াল মাদ্রিদ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন