ঢাকায় জনসভার অনুমতি চেয়ে ইসিতে ঐক্যফ্রন্টের চিঠি
২৭ ডিসেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সমাবেশ করতে চায়। ২৪ ডিসেম্বরের পর ঢাকায় কোনো সমাবেশ করা যাবে না এমন নির্দেশনা পর নির্বাচন কমিশন (ইসি) বরাবর চিঠি দিয়ে সমাবেশের অনুমতি চেয়েছে ঐক্যফ্রন্ট। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল।
রোববার বিকেলে আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল চিঠি দেয় ইসিতে। প্রতিনিধি দলে ছিলেন মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আমিন চৌধুরী, আহমেদ আজম, শামসুজ্জামান দুদু, সুকোমল বড়ুয়া, সাবেক সচিব খান মো. ইব্রাহিম।
নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে ফেরার পথে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা বেশ ক’টি বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। চিঠিও দিয়েছি। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ২৭ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করার অনুমতি। আপনারা গণমাধ্যমকর্মীরা জানেন, প্রত্যেক জাতীয় নির্বাচনের আগে নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হওয়ার আগে সব রাজনৈতিক দল বড় বড় জনসভা করে। এটা সব বড় দলই করে। এটা আমাদের রাজনৈতিক ঐতিহ্যের অংশও।
তিনি আরও বলেন, ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা বন্ধ থাকবে। সে কারণে আমরা ২৭ তারিখে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করার অনুমতি চেয়েছিলাম। আরপিও অনুযায়ী আমরা জনসভা করার অধিকার রাখি। আরপিও অনুযায়ী আমরা ২৪ ঘণ্টারও বহু আগে গত পরশু আবেদন করি। কিন্তু গতকাল রাতে আমাদের পুলিশ কর্তৃপক্ষ থেকে বলা হয়েছে ২৪ তারিখের পরে ঢাকা শহরে আর কোনো জনসভা করা যাবে না। এটা প্রচলিত আইনের সম্পূর্ণ ব্যত্যয়। যে আইনের বলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সে আইনের সম্পূর্ণ পরিপন্থি।
‘যেখানে ২৮ তারিখ সকাল পর্যন্ত প্রচার প্রচারণা করতে পারবো। পথসভা করতে হলেও জাস্ট কর্তৃপক্ষকে ইনফর্ম করে সভা করতে পারি। কিন্তু এতো আগে অনুমতি চেয়েও আমাদের যা বলা হয়েছে তা যৌক্তিক নয় বরং প্রচারণার ক্ষেত্রে আমাদের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ’-যোগ করেন নজরুল ইসলাম খান।
আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী জনসভা করবেন ঢাকায়। এর আগেও তিনি করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর জনসভার পরই আর কেউ জনসভা করতে পারবে না, এ রকম কোনো আদেশ পক্ষপাতমূলক বলে মনে করি আমি।
তিনি বলেন, ২৪ তারিখের পরে আর করা যাবে না বলাটা উদ্দেশ্যমূলক। আরপিও অনুযায়ী আমরা জনসভা করার অধিকার রাখি। সুতরাং আমাদের জনসভা করার অনুমতি দেয়া হোক। আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলেছি আইন অনুযায়ী আমরা জনসভা করতে পারি। আইন মেনেই অনুমতি চাওয়া হয়েছে। ওই দিন আমরাও করতে পারবো। তবে তিনি যেহেতু কেরানীগঞ্জে জনসভা করবেন। সে কারণে বিশৃঙ্খলা এড়াতে আমরা ওই দিন জনসভা ডাকিনি। আমরা আজ বলেছি আমাদের জনসভা করতে বাধা দেয়া, নির্বাচনে বাধা দেয়ার শামিল। আমরা অনুরোধ করবো এ রকম অন্যায় বিধি নিষেধ আরোপ করে নির্বাচনী কার্যক্রমে আমাদের যে অধিকার তা থেকে যেন আমাদের বঞ্চিত করা না হয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আমাদের কথার সঙ্গে একমত হয়েছেন। তিনি বলেছেন, আইন অনুযায়ী আপনারা জনসভা করতেই পারেন। এটা তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানান।
এর আগে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনে ঐক্যফ্রন্টের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে, ২৭ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করার ঘোষণা দেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন