নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে দেড়শ কোটি টাকা লেনদেন
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে দুবাই থেকে টাকা এনেছিল একটি চক্র। তারা প্রতিদিন ১১-২০ কোটি টাকার লেনদেন করেছে। এসব টাকা হুন্ডি ও বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে। রাজধানীর একটি অফিস থেকে গত দুই মাসে প্রায় দেড়শ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে মতিঝিল সিটি সেন্টারের ২৭ তলায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।
এ ঘটনায় মতিঝিলের সিটি সেন্টার থেকে এক ব্যবসায়ীসহ তিনজনকে আটক করেছে র্যাব-৩। এ সময় তাদের কাছ থেকে আট কোটি টাকা ও ১০ কোটি টাকার চেক জব্দ করে সংস্থাটি।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আমদানি-রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী হায়দার, গুলশানের আমেনা এন্টারপ্রাইজের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) জয়নাল আবেদিন ও অফিস সহকারী আলমগীর হোসেন।
র্যাব ডিজি বলেন, ‘ইউনাইটেড করপোরেশনের কথিত মালিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে গত এক মাসে ৭৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এছাড়া তিনি গত দুই মাসে এক কোটি টাকা বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠিয়েছেন। অফিসটিতে আমরা একটি আসনে সব ভোটারের নাম, ফোন নম্বর ও ঠিকানা সম্বলিত একটি তালিকা পেয়েছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি তাদের ভোট কেনার জন্য টাকাগুলো রাখা হয়েছে।’
র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা বলেছেন, নির্বাচনকে প্রভাবিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে এই টাকাগুলো দুবাই থেকে পাঠানো হয়েছে।’
বেনজীর বলেন, ‘এখানে আমরা একজন মনোনয়নপ্রাপ্ত ব্যক্তির কাগজপত্র দেখতে পেয়েছি, যাকে তিন কোটি ৬০ লাখ টাকা পাঠানো হয়েছে। তিনি শরীয়তপুর-৩ আসনে ধানের শীষের মনোনয়নপ্রাপ্ত নুরুউদ্দিন অপু। তার এলাকায় টাকা যাওয়ার পর সোমবার নির্বাচনী সহিংসতা হয়েছে।’
র্যাব প্রধান জানান, দেশের যেসব স্থানে এই টাকাগুলো গিয়েছে সেখানেই নির্বাচনী সহিংসতা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে একজন হাওয়া ভবনে কাজ করতেন বলেও তিনি জানান।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন