‘গ্রেফতার হলে আমার মা ও স্ত্রী বাকি লড়াই চালিয়ে যাবেন’

যশোর-৩ (সদর) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম অমিত অভিযোগ করছেন, নির্বাচনে তার পাশে থাকতে পারছে না দলের পদধারী নেতারা। গণসংযোগ, মতবিনিময়, সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিলে পুলিশ তাদের বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার করছে। গত কয়েক দিনে সদর উপজেলায় দলের পদধারী অন্তত আড়াইশত নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বুধবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। অমিত সাবেক মন্ত্রী সদ্য প্রায়ত তরিকুল ইসলামের ছেলে এবং বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক।

সংবাদ সম্মেলনে অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের পাশে তার স্ত্রী সোহানা পারভীন ছাড়া কোনো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন না।

সংবাদ সম্মেলনে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, গত সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলাম আমার ডানে-বামে যেসব নেতাদের দেখছেন আগামী সংবাদ সম্মেলনে তাদের পাবেন কি-না সংশয়। সেই কথা সত্যি হলো। আজ আমার পাশে কোনো নেতা নেই। জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের একে একে গ্রেফতার করা হচ্ছে। মঙ্গলবার আমার নির্বাচনী গণসংযোগের গাড়ি থেকে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি গোলাম রেজা দুলু, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ নুরুন্নবীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ (বুধবার) জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাবেরুল হক সাবু ও যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল নেতাদের নামে মামলা দেয়া হচ্ছে। ধারাবাহিক গ্রেফতার চলছে।

তিনি বলেন, আমি নিজে যতক্ষণ বাইরে আছি ভোটে আছি। আমাকে দুই একদিনের মধ্যে গ্রেফতার করা হলে আমার মা ও স্ত্রী বাকি লড়াই চালিয়ে যাবেন।

নৌকার প্রার্থীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, সমস্ত আয়োজন ছেড়ে আপনি একা আসুন ভোটের মাঠে, আমিও একা আসবো। নির্বাচনী এলাকার যেকোনো মাঠে দুজন হাজির হবো। দেখুন জনগণ কাকে বেছে নেয়। আমার আত্মবিশ্বাস আছে। জনগণ আমাকেই বেছে নেবে।

সংবাদ সম্মেলনে অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের স্ত্রী সোহানা পারভীন বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে এখন চরম আতংক বিরাজ করছে। বাড়ির মধ্যেও নেতাকর্মীরা কথা বলতে ভয় পাচ্ছে। গোটা দেশের মত যশোরেও ভয়াবহ পরিস্থিতি চলছে। এমনটি কেউ আশা করেনি।