‘যে হারে বেতন বাড়িয়েছি, পৃথিবীর কোনও দেশে তা হয়নি’
দুর্নীতি রোধে সরকারি কর্মীদের বেতন-ভাতা প্রয়োজন অনুসারে বাড়ানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘যে হারে বেতন আমরা বাড়িয়েছি। এ উদাহরণ মনে হয় পৃথিবীর কোনও দেশে নাই।’ বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যে লক্ষ্য আমরা নিয়েছি তা পূরণ করার জন্য সুশাসন ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ে তোলা দরকার। আমরা বেতন-ভাতা, সুযোগ-সুবিধা এতো বেশি বৃদ্ধি করে দিয়েছি, সেক্ষেত্রে আমি তো মনে করি আমাদের দুর্নীতির কোনও প্রয়োজনই নেই।’
সরকারি কর্মীদের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটানো প্রয়োজন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যা প্রয়োজন তার সব আমরা মেটাচ্ছি, তাহলে দুর্নীতি কেন হবে? কাজেই এখানে মানুষের মন-মানসিকতাকে পরিবর্তন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সবাইকে অনুরোধ করবো, একটা কথা মনে রাখতে হবে যে, দেশটা আমাদের। আমরা এ দেশ স্বাধীন করেছি। আজকে সারাবিশ্বে একটা সম্মানজনক জায়গায় আসতে পেরেছি। এখন সেই পাকিস্তানও বলে আমাদেরকে বাংলাদেশ বানিয়ে দাও। আজকে কিন্তু আর তলাবিহীন ঝুড়ি বলার সাহসও তাদের নেই। বলতেও তারা পারবে না। এই এগিয়ে যাওয়া, এই যাত্রা আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে।’
অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে প্রয়োজন অনুসারে নির্দিষ্ট পদে পদায়নের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘পদ ফাঁকা পেলেই পদায়ন নয়, যার যে বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণ রয়েছে তাকে সেই জায়গায় পদায়ন করতে হবে।’
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সর্বক্ষেত্রেই ডিজিটাল সুবিধা ব্যবহার করতে হবে। এর মাধ্যমে আমি মনে করি স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিত হতে পারে।’
আগামী ৫ বছরে প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি আমরা লক্ষ্য ৭ দশমিক ৪ শতাংশ ধরা হলেও এটা ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য থাকবে, প্রবৃদ্ধি এই পাঁচ বছরের মধ্যে যেন ১০ ভাগে তুলতে পারি।’
প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির সঙ্গে নিম্ন মূল্যস্ফীতি রাখতে পারার সফলতার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘উচ্চ প্রবৃদ্ধি আর নিম্ন মূল্যস্ফীতির সুফলটা কিন্তু একেবারে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছায়। মানুষ এর সুফলটা ভোগ করে। আমাদের উন্নয়নের সব থেকে বড় সুফলটা হচ্ছে এটাই। কারণ অনেক দেশ অনেক দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করে, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে তাদের মূল্যস্ফীতিও অনেক বেড়ে যায়। সেখানে আমরা এটা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি।’
এ সময় অন্যান্যের বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফয়েজ আহম্মদ। উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন