ট্রাম্প-কিমের দ্বিতীয় বৈঠকের তোড়জোড়
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের দ্বিতীয় দফার বৈঠকের তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। এই বৈঠককে কেন্দ্র করে ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ কর্মকর্তা কিম ইয়ং চোল। দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র বা উত্তর কোরিয়ার তরফ থেকে কোন বৈঠকের ঘোষণা দেয়া হয়নি। তবে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনের একটি হোটেলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গে কিম ইয়ং চোলের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
কিম জং উনের ডান হাত হিসেবে পরিচিত কিম ইয়ং চোল। তিনি কিম জং উনের কাছ থেকে ট্রাম্পের জন্য আরো একটি নিয়ে এসেছেন। এর আগেও ট্রাম্পের উদ্দেশে চিঠি পাঠিয়েছিলেন কিম।
ট্রাম্পের সঙ্গে কিমের দ্বিতীয় বৈঠকটি ভিয়েতনামে হতে পারে বলে জল্পনা আরও বাড়ছে। বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে পা রাখেন কিম ইয়ং চোল। তিনি চীনের রাজধানী বেইজিং থেকে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে পাড়ি জমান।
চলতি বছর কিমের সঙ্গে দ্বিতীয় বৈঠকের বিষয়ে বেশ কয়েকবার কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিমের সঙ্গে ট্রাম্পের বেশ কয়েকবার চিঠি দেয়া নেয়াও হয়েছে। এর আগে গত জুনে তারা সিঙ্গাপুরে প্রথমবারের মতো বৈঠক করেন। এটাই ছিল প্রথম কোন ক্ষমতাসীন মার্কিন প্রেসিডেন্টের উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিমের সঙ্গে প্রথম ঐতিহাসিক বৈঠক।
ইয়োনহাপ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনের ডুলেস বিমানবন্দরে কিম ইয়ং চোলকে স্বাগত জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে উত্তর কোরিয়ার বিশেষ প্রতিনিধি স্টিফেন বিয়েগান। গত নভেম্বরে কিম ইয়ং চোলের সঙ্গে পম্পেওর বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ওই বৈঠক বাতিল হয়ে যায়।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার দূত চো ইয়োন জে বলেন, চলতি বছরের শুরুতে নববর্ষ উপলক্ষে এক ভাষণে ট্রাম্পের সঙ্গে যে কোন সময় বৈঠকের ইচ্ছা পোষণ করেন কিম জং উন। এর পরেই দু’পক্ষ দ্বিতীয়বারের মতো বৈঠকের জন্য যোগাযোগ শুরু করে।
চলতি মাসের শুরুতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, আরও একটি বৈঠকের জন্য একটি জায়গা নির্ধারণের জন্য আলোচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর কোরিয়া। তবে এ বিষয়ে মার্কিন কর্মকর্তারা বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
চলতি বছরের শুরুতে উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জন উনের কাছ থেকে একটি চিঠি পেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে চিঠিতে কী লেখা ছিল সে বিষয়ে কিছু জানাতে চাননি তিনি।
সে সময় তিনি দু’পক্ষের বৈঠক সম্পর্কে বলেন, আমরা এখন স্থান ঠিক করতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে বৈঠকের স্থানটি জানতে আপনাদের বোধহয় খুব বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না। তারা (উত্তর কোরিয়া) আমাদের সঙ্গে বসতে চায় এবং আমরাও সেটি চায়। এখন দেখি সামনে কী হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন