এডিবির ঋণ গ্রহণে শীর্ষে বাংলাদেশ : পরিকল্পনামন্ত্রী
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ৪৮টি সদস্য দেশের মধ্যে ঋণ গ্রহণের তালিকায় শীর্ষে উঠেছে বাংলাদেশ। এডিবির কাছ থেকে ভারতও বাংলাদেশের চেয়ে কম ঋণ নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এর আগে পরিকল্পনামন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ।
এম এ মান্নান বলেন, ‘এ মুহূর্তে এডিবি ৪৮টি সদস্য রাষ্ট্রকে ঋণ দেয়। ঋণগৃহিতা দেশগুলোর মধ্যে আমরা এখন এক নম্বরে। আপনারা ভালোভাবে দেখেন না, খারাপভাবে দেখেন, সেটা অন্য দিক। কিন্তু আমরা গ্রহণ করতে পারছি, এবজর্ব (ধারণ) করতে পারছি।’
বাংলাদেশ এ বছরই ঋণগ্রহণে প্রথম হয়েছে বলেও জানান পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এ বছরই প্রথম হলাম আমরা। ৫ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। ইন্ডিয়া বোধহয় ৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। অনেক পার্থক্য। আমার মনে হয়, এটা দেখার বিষয় আছে গভীরে গিয়ে।’
বাংলাদেশের ঋণ গৃহণের মান ভালো বলে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ জানিয়েছেন বলেও জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘তিনি (মনমোহন প্রকাশ) আমাকে বললেন, আপনাদের ঋণগ্রহণের মান অত্যন্ত ভালো। আমরা ভালো কাজে লাগাচ্ছি এবং গতিটা বৃদ্ধি করতে পারলে আরও হতে পারত। এডিবি থেকে আমরা এখন ভারতের চেয়েও বেশি ঋণ নিচ্ছি।’
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘উনি আমাকে বলেছেন, আপনারা যে ঋণ নিয়েছেন, তা খুবই ভালো। আপনারা যদি প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে পারেন, যে লাভ হওয়ার কথা সেটা আপনারা পাবেন।’
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টরের এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করেন এম এ মান্নান।
এডিবি বিনিয়োগ বাড়াবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এডিবি বিনিয়োগ বাড়াবে কি না, তা আমাদের ওপর নির্ভর করছে। তাদের কাছে এত টাকা আছে, তারা টাকা নিয়ে বসে আছে। ভালো প্রকল্প নিয়ে আসলে, যত টাকা লাগে পাওয়া যাবে। তবে নিলেই তো হবে না, বাস্তবায়ন তো করতে হবে। আমরা টাকা কমিউট করেছি ১০০ টাকা, কিন্তু ছেড়েছি মাত্র ২০ টাকা। কেন ২০ টাকা ছাড়ছি, ৮০ টাকা ছাড়ছি না, কারণ জানতে হবে। কারণ, প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি কম।
এডিবির কাছ থেকে বাংলাদেশ ঋণ নিচ্ছে, বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে এম এ মান্নান বলেন, ‘দাতা সংস্থা বলে কিছু নাই কিন্তু। এরা সবাই ঋণ সহযোগী, ঋণ দেয়। সবাই আমাদের মনে করেন, আমরা একটা উদীয়মান প্রবৃদ্ধির দেশ। তবে আমাদের কাজের পদ্ধতি সময়োপযোগী তো নয়ই, কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিরক্তিকরভাবে স্লো (ধীরগতির)। এটা বাড়াতে হবে।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন