জাবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ ও গুলি, প্রক্টরসহ আহত ৬
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান চঞ্চল ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ রাসেলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ ৬ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার বিকাল পৌনে ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ চলাকালে ৬ রাউন্ড গুলি বিনিময়ের শব্দ শুনা যায়। এছাড়া উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীদের হাতে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র দেখা যায়।
পরে সাড়ে ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদেরকে শান্ত করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
জানা যায়, সংঘর্ষ চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ফিরজ উল হাসানের বুকে ইটের আঘাত লাগে। এছাড়া দুই গ্রুপের অন্তত পাঁচজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তারা হলেন- ছাত্রলীগ কর্মী সাজ্জাত, বাহার, মোস্তফা, উৎস ও রনি।
সংঘর্ষের সূত্রপাত সম্পর্কে জানা যায়, বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রাজিব আহমেদ রাসেল তার স্ত্রীকে নিয়ে ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসেন। এ সময় বর্তমান সম্পাদক চঞ্চল তার নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ এলাকায় রাসেলকে ধাওয়া দেন। এ খবর জানার পর রাজিবের অনুসারীরা বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র নিয়ে আবাসিক হলগুলো থেকে বের হয়ে বর্তমান সাধারণ সম্পাদকের আবাসিক হল শহীদ সালাম বরকতের উপর হামলা চালান। ফলে দুই গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি হল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, শহীদ সালাম বরকত হল, মওলানা ভাসানি হল, শহীদ রফিক-জব্বার হল, রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর হল ও আল বেরুনী হলের নেতাকর্মীরা অংশ নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষে চলকালে সর্বমোট ৬ রাউন্ড গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমান সম্পাদকের অনুসারীদের দিক থেকে ২ এবং সাবেক সম্পাদকের অনুসারীদের দিক থেকে ৪ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়।
এই বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সম্পাদক রাজিব আহমেদ রাসেল বলেন, ‘চঞ্চলের নেতৃত্বে আমার উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। এইসময় আমাকে ও আমার স্ত্রীকে লাঞ্ছিত করা হয়।’
শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান সম্পাদক আবু সুফিয়ান চঞ্চল বলেন, ‘আমার সঙ্গে রাজিব ভাইয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে দেখা হয়। আমি দেখে ওনাকে বলি- আপনি আসলে ক্যাম্পাসে নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা তৈরি হয়, তাই আপনি চলে যান। এই কথা বলার পর ওনি আমার উপর হামলা করতে ওনার অনুসারীদেরকে ডেকে আনেন। এমন পরিস্থিতিতে আমি ওইখান থেকে চলে আসি। পরবর্তীতে তার (রাজিব) অনুসারীরা আমার হলে এসে হামলা চালায়। পরে হলের শিক্ষার্থীরা তাদেরকে প্রতিরোধ করে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তাতে যেকোনো মূহুর্তে আবার সংঘর্ষ বাঁধতে পারে। তাই আমরা পুলিশ মোতায়েন করেছি।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন