ভিয়েতনামে ট্রাম্প-কিমের নৈশভোজ
নৈশভোজের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উনের শীর্ষ সম্মেলন। এর আগে দু’নেতা ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ের একটি অভিজাত হোটেলে নৈশভোজে মিলিত হন দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের প্রধান। পরে তারা একান্ত বৈঠকে বসেন।
বুধবার সন্ধ্যায় পাঁচ তারকা সোফিটেল লেজেন্ড মেট্রোপোল হোটেলে ট্রাম্প-কিম সাক্ষাৎ করেন। দু’দিনের এ সম্মেলনে তারা কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিবিসি জানায়, এর আগে ট্রাম্প ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গেও দেখা করবেন। বুধবার এক টুইট বার্তায় সম্মেলনের আয়োজক দেশটির ভূয়সী প্রশংসাও করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্প বলেন, ‘পৃথিবীর অল্প কিছু এলাকার মতো ভিয়েতনামও সমৃদ্ধশালী। উত্তর কোরিয়াও শিগগিরই এরকম হতে পারে, যদি তারা নিরস্ত্রীকরণ করে।’
কিম বলেছেন, ‘আমাদের বৈঠকের মধ্য দিয়ে বড় ফল অর্জিত হবে বলে আশা করছি। আমি আমার সেরাটা দেব।’
হোয়াইট হাউসের দেয়া সূচি অনুযায়ী, বুধবার হ্যানয়ের সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা একান্ত বৈঠকে বসেন। ২০ মিনিটের বৈঠকের পর দুই নেতা রাতের খাবারে মিলিত হন। সেখানে ট্রাম্প-কিমের সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ও উত্তরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি ইয়ং হো এবং উভয় দেশের উপদেষ্টারা উপস্থিত ছিলেন। এ নৈশভোজের মধ্য দিয়েই শুরু হল ট্রাম্প ও কিমের দ্বিতীয় পরমাণু সম্মেলন।
বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও উত্তরের শীর্ষ নেতার মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও সেখানে কী নিয়ে আলোচনা হবে তা জানা যায়নি। দুই নেতার মধ্যে কোনো চুক্তি হলে কিংবা গুরুত্বপূর্ণ কোনো সংবাদ সম্মেলন হলে তাও বৃহস্পতিবারই হবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
এবারের বৈঠককে সিঙ্গাপুরে গত বছরের ১২ জুনে হওয়া প্রথম বৈঠকের ধারাবাহিকতা হিসেবেই দেখা হচ্ছে। নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রতিশ্রুতি না থাকায় সিঙ্গাপুরের ওই বৈঠকের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন পশ্চিমা বিশ্লেষকরা। এরপর দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক ক্ষেত্রে সামান্য অগ্রগতি দেখা গেলেও নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি। সমালোচকদের সুনির্দিষ্ট অগ্রগতির প্রমাণ দেখাতে এবার তাই বৈঠকে দুই নেতাই মরিয়া থাকবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ট্রাম্প অবশ্য শীর্ষ সম্মেলন শুরুর আগেই প্রত্যাশার লাগাম টেনে ধরেছেন। বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে তাড়াহুড়ো নেই তার। প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘আমি কারও ক্ষেত্রেই তাড়াহুড়ো করতে চাই না। কেবল পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা দেখতে চাই না। যতক্ষণ পর্যন্ত তারা পরীক্ষা করছে না, ততক্ষণ আমরা খুশি।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন