প্রথম আড়াই ঘণ্টায় এক কেন্দ্রে তিন ভোট!
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মিরপুরের কাজীপাড়ার হাজী ইউসুফ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট গ্রহণ শুরুর পর থেকে প্রথম আড়াই ঘণ্টায় মাত্র তিনটি ভোট পড়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে ওই কেন্দ্রের পোলিং এজেন্ট মোজাম্মেল হক বলেন, ‘সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১০টার ভেতরে মাত্র তিনজন ভোটার ভোট দিয়েছেন। সকাল পৌনে ৯টার দিকে একজন, ১৫ মিনিট পরে একজন আর তার ত্রিশ মিনিট পরে একজন ভোটার ভোট দিয়েছেন।’
ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত বিমানবন্দর থানার উপপরিদর্শক আলিমুল বলেন, ‘এখানে শুধু মেয়র পদে ভোট হওয়ায় ভোটার নেই। মাত্র তিনজন ভোট দিয়েছেন এখন পর্যন্ত। কাউন্সিলর পদে ভোট হলে আরো কিছু ভোট বাড়ত বলে মনে হয়।’
ওই ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে দেখা যায়, পাঁচজন পোলিং এজেন্ট বসে আছেন। পুরো স্কুলের ভেতরে একজনও ভোটারকে দেখা যায়নি।
আজ সকাল ৮টা থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে উপনির্বাচনের পাশাপাশি উত্তর ও দক্ষিণে নতুন যুক্ত হওয়া ৩৬টি ওয়ার্ডেও ভোট গ্রহণ হচ্ছে। কোনো ধরনের বিরতি ছাড়াই বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
গত দুদিনের ধারাবাহিকতায় আজও ভোর থেকেই রাজধানীতে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে সকালবেলায় ভোটারদের কিছুটা ভোগান্তি ও বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হয়। অনেক কেন্দ্রেই ভোটারদের উপস্থিতি ছিল সামান্য। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কোথাও কোথাও ভোটার কিছুটা বাড়তে থাকে।
গত ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ‘অভিজ্ঞতার’ মূল্যায়ন করে এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি বিএনপি, বাম দলগুলোসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল। ফলে এই নির্বাচন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে কোনো উত্তাপ ছড়াতে পারেনি।
ভোটের একদিন আগে গতকাল বুধবার এ নিয়ে অস্বস্তিতে থাকার কথাও স্বীকার করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। তিনি বলেছেন, ‘সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি, এতে আমাদের কিছু করার নেই। এটি তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। দলগুলো নির্বাচনে অংশ না নেওয়া আমাদের প্রতি অনাস্থা নয়। তবে সব দলের নির্বাচনে অংশ না নেওয়া আমাদের জন্য অস্বস্তিকর।’
আতিকুল ইসলামকেও আজ সকালে এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। একজন সাংবাদিক প্রশ্ন রাখেন, ‘খেলায় সমান-সমান প্রতিপক্ষ থাকে। এই নির্বাচনে বিএনপি নেই। অনেকেই বলছেন, নির্বাচনটা একপেশে হয়ে যাচ্ছে। একজন প্রার্থী হিসেবে আপনার মূল্যায়ন কী?’
জবাবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বলেন, ‘আমি এর আগে বিজিএমইএতে নির্বাচন করেছি। সেখানে প্রতিটি নির্বাচন ছিল অংশগ্রহণমূলক। অবশ্যই যদি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতো, যদি আরেকটি দল থাকত, অবশ্যই এই নির্বাচন আরো অংশগ্রহণমূলক হতো, এতে কোনো সন্দেহ নাই।’
ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি নির্বাচনে মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে মোট প্রার্থী সংখ্যা ৩৮২ জন। এর মধ্যে মেয়র পদে লড়াইয়ে আছেন পাঁচজন। দুই সিটিতে ৩৬টি সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিল পদে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ৩১০ জন। উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে ছয়টি করে ১২টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিল পদে প্রার্থীর সংখ্যা ৬৯ জন। এর মধ্যে ডিএনসিসির ১৮টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ১১৬ জন, সমসংখ্যক ওয়ার্ডে ডিএসসিসিতে সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ১২৫ জন। অন্যদিকে ডিএনসিসির ছয় সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর প্রার্থী ৪৫ জন এবং ডিএসসিসিতে ২৪ জন।
এই নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলেও কাউন্সিলর পদে দলীয় স্বতন্ত্র প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে। এরই মধ্যে ঢাকা উত্তরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে একজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন