পরকীয়ার কারণে একের পর এক সংসার তছনছ হয়ে যাচ্ছে। প্রিয়জনের পরকীয়াকে মেনে নিতে না পেরে অনেকে আত্মহত্যার দিকেও ঝুঁকছেন। থামছেই না এই পরকীয়া। পরকীয়ার পেছনে কী কী কারণ কাজ করছে? এর জন্য দায়ী কে- স্বামী না স্ত্রী? আমাদের সমাজ ব্যবস্থাও কি দায়ী? এমন নানা প্রশ্ন সবার মাথায়ই আসে।

পরকীয়া সম্পর্কের জন্য মেগাসিরিয়াল দায়ী কিনা-তা জানতে চেয়েছে ভারতের মাদ্রাজ হাইকোর্ট। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্র ও রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এমনকি ইন্টারনেটের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণেও পরকীয়া বাড়ছে কিনা, তা দেখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সারাদেশে পরকীয়ার কারণে হিংসাত্মক ঘটনা বেড়ে গেছে। এমনটাই পর্যবেক্ষণ করেছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। আদালত মোট ২০টি প্রশ্নের একটি তালিকা তৈরি করেছে। যার মধ্যে অন্যতম পরকীয়ায় মেগা সিরিয়ালের প্রভাব।

মাদ্রাজ হাইকোর্ট প্রশ্ন করেছে, মেগাসিরিয়ালের সঙ্গে কিছু সিনেমাও কি দেশে পরকীয়া সম্পর্ক বেড়ে যাওয়ার কারণগুলোর মধ্যে একটা?

মাদ্রাজ হাইকোর্ট আরও বলেছে, খুন, অপহরণ ইত্যাদির সঙ্গে পরকীয়ার একটা যোগ দেখা যাচ্ছে। তারপরই মেগাসিরিয়াল-সংক্রান্ত প্রশ্নটি রাখা হয়।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইন্টারনেট চালিত দুনিয়া ছাড়াও আধুনিকীকরণ কিংবা পশ্চিমা দেশগুলোর প্রভাবও পরকীয়া বেড়ে যাওয়ার কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে বলেছে আদালত। ফেসবুক, ফেসটাইম, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রামের ফলে অপরিচিত ব্যক্তিদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতার সুযোগ বাড়ার ফলে এমন ঘটনা ঘটছে কি না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আদালত জানতে চেয়েছে যে, পশ্চিমা দেশগুলোর প্রভাবের ফলে রক্ষণশীল সমাজে থেকেও প্রথা ভাঙার ধারা শুরু হয়েছে কি না।

মামলাটি আগামী জুন মাসের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছে। পরকীয়া-সংক্রান্ত সমস্যার জেরে রাজ্যে গত ১০ বছরে কতজনের মৃত্যু হয়েছে, প্রশাসনের কাছে তা জানতে চেয়েছে আদালত।