রেলওয়েতে অত্যাধুনিক বগি, ছুটবে ১৪০কিলোমিটার গতিতে
রেলওয়ের উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। ২০২০ সালের মধ্যে দেশে এই পরিবহন ব্যবস্থার চিত্র পুরোপুরি পাল্টে যাচ্ছে। ওই বছরের জুনের মধ্যেই ব্রডগেজ ও মিটারগেজ মিলিয়ে ২৫০টি বগি যুক্ত হচ্ছে, যা দিয়ে তৈরি করা যাবে ১৫ টি নতুন ট্রেন।
প্রকল্প সূত্র জানা গেছে, রেলে যুক্ত করার জন্য ৫০টি ব্রডগেজ ও ২০০টি মিটারগেজ বগি কেনা হচ্ছে। মিটারগেজ বগিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৮০ কোটি টাকা। আর ব্রডগেজ বগি কেনার জন্য ব্যয় হবে ২১৩ কোটি টাকা। প্রতিটি বগির আমদানি মূল্য ৫ কোটি টাকা। ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীণ ট্রেন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান পিটি ইন্ডাস্ট্রি কেরেতা এপি (ইনকো) এসব বগি তৈরি করেছে। সেখানে থেকে জাহাজে করে এগুলো দেশে আনা হবে। ইতেমধ্যে জানুয়ারিতে ১৫টি ব্রডগেজ বগি দেশে চলে এসেছে।
দ্বিতীয় চালানে ১৮টি ব্রডগেজ বগি মার্চের ১০ তারিখে, পরে এপ্রিলের শেষের দিকে ও মে মাসের প্রথম দিকে বাকি ১৮টি ব্রডগেজ বগি আসবে। নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় রেখে বগিগুলোতে র্যাক তৈরি করে ট্রায়াল রানা করা হবে। যে ৫০টি ব্রডগেজ বগি আসবে সেগুলো দিয়ে তিনটি নতুন ট্রেন তৈরি করা যাবে।
অত্যাধুনিক বগি যুক্ত হচ্ছে রেলওয়েতে। এদিকে জুন থেকে ৯টি শিপমেন্ট ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত সময় কালে আসবে ২০০টি মিটারগেজ বগি। এই বগিগুলোও ট্রায়াল রানের জন্য রাখা হবে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায়। ২০০টি মিটারগেজ দিয়ে ১২টি নুতন ট্রেন তৈরি করা যাবে।
রেলওয়ের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী (সিএমই) হারুনুর রশীদ বলেন, ব্রডগেজ ও মিটারগেজ সহ মোট ২৫০টি ২০২০ সালের জুনের ভেতর আমরা পেয়ে যাবো। যা দিয়ে প্রায় ১৫টি নতুন ট্রেন তৈরি করা যাবে। এসব ট্রেন যুক্ত হলে মানুষের চাপ অর্ধৈকে নেমে আসবে।
৫০টি ব্রডগেজ বগি থেকে নতুন যে তিনটি ট্রেন তৈরি করা হবে সেগুলো ঘন্টায় ১৪০ কিলোমিটার গতিতে ছুটবে। প্রতি মিনিটে চলবে প্রায় আড়াই কিলোমিটার।
রেলওয়ের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী (সিএমই) হারুনুর রশীদ বলেন, বগিগুলোতে বায়ো-টয়লেট যুক্ত থাকছে। প্লেনের মতো বায়ো-টয়লেট পদ্ধতি থাকায় রেললাইনে কোনো মলমূত্র পড়বে না। ফলে পরিবেশ যেমন দূষণ হবে না তেমনি ট্রেনগুলোও ব্যাকটেরিয়ামুক্ত ও দূষণমুক্ত থাকবে।
তিনি বলেন, এসব বগি সহজে নষ্ট হবে না, খুবই উন্নত। প্রতিবন্ধীদের জন্য স্পেশাল চেয়ারের ব্যবস্থা থাকবে। সামনে টেলিভিশনের পর্দা থাকবে। ট্রেন থাকায় থাকছে সেটি স্ক্রিনে দেখা যাবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন