লাইসেন্সের জন্য প্রাথমিক সম্মতিপত্র পেল দুটি ব্যাংক

কার্যক্রম শুরু করতে দুটি ব্যাংকে লাইসেন্সের জন্য প্রাথমিক সম্মতিপত্র (এলওআই বা লেটার অব ইনটেন্ট) দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংক দুটি হলো বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক এবং সিটিজেন ব্যাংক। এলওআই পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে পিপলস ব্যাংক । বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে ১৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ তিনটি ব্যাংককে এলওআই দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এর আগে বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের মালিকানায় কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, গত সপ্তাহে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক এবং সিটিজেন ব্যাংককে এলওআই দেয়া হয়েছে। পিপলস ব্যাংক এলওআই’র অপেক্ষায় রয়েছে।

তিনি বলেন, পিপলস ব্যাংকের কাগজপত্র যাচাই-বাচাই করা হচ্ছে। তা সঠিক হলে এলওআই ইস্যু করা হবে।

জানা গেছে, এলওআই দেয়ার সময় ব্যাংকগুলোকে কিছু শর্ত দেয়া হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়ন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জানালে এরপরই পরিপূর্ণভাবে কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

অনুমোদন পাওয়া বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের’ প্রধান উদ্যোক্তা হলেন বেঙ্গল গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন। যদিও শুরুতে ‘বাংলা ব্যাংক’ নামেই অনুমোদনের আবেদন জমা দেয়া হয়েছিল ব্যাংকটির। দেশে তাদের প্লাস্টিক শিল্পসহ বিভিন্ন ব্যবসা রয়েছে। জসিম উদ্দিন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের ভাই।

দ্য সিটিজেন ব্যাংকের মালিক হলেন বর্তমান আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের মা জাহানারা হক।

পিপলস ব্যাংকের উদ্যোক্তা চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের বাসিন্দা যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা এম এ কাশেম। শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিংয়ের জন্য ব্যাংকটি আবেদন করা হয়েছে।

বিধি মোতাবেক, ১০ লাখ টাকা ফি দিয়ে নতুন ব্যাংকের অনুমোদন পেতে আবেদন করতে হয়। আর চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে ৪০০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন লাগে। তবে এ তিনটি ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ৪০০ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০০ কোটি টাকা করতে শর্ত দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বোর্ডের অনুমোদন পাওয়া ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম শুরু প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, বোর্ডের অনুমোদনপ্রাপ্ত ব্যাংককে এখন প্রথমে রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানি অ্যান্ড ফার্মস (আরজেএসসি) থেকে নিবন্ধন নিয়ে কোম্পানি গঠন করতে হবে। এরপর ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৩২ ধারা অনুযায়ী ব্যাংকের জন্য চূড়ান্ত লাইসেন্স দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।