ভোট জালিয়াতি : তোপের মুখে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা
ডাকসু নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়ম হওয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েছেন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক এসএম মাহফুজুর রহমান।
সোমবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে রোকেয়া হল থেকে বের হওয়ার সময় তোপের মুখে পড়েন তিনি।
এ সময় প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে ‘ভুয়া, ভুয়া’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
পরে তিন শিক্ষার্থী তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।
জানা গেছে, বেগম রোকেয়া হল ভোটকেন্দ্র থেকে তিনটি ব্যালটবাক্স সরিয়ে ফেলার অভিযোগ করেছেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা।
এ ছাড়া ট্রাংকভর্তি ব্যালট উদ্ধারের পর রোকেয়া হলে ভোটগ্রহণ বন্ধ রয়েছে।
এ ঘটনায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে সেখানে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক এসএম মাহফুজুর রহমান আসেন। তিনি কেন্দ্রের অন্যান্য শিক্ষকের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে বের হয়ে যাওয়ার সময় তিনি তোপের মুখে পড়েন।
সোমবার সকালে ভোট শুরুর পর থেকেই বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ আসতে শুরু করে।
বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল থেকে বস্তাভর্তি সিল মারা ছাত্রলীগ প্যানেলের ব্যালট উদ্ধার করা হয়।
পরে শিক্ষার্থী ও প্রার্থীদের প্রতিবাদের মুখে প্রায় তিন ঘণ্টা সেখানে ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল।
এ ছাড়া ভোট জালিয়াতির অভিযোগে শিক্ষার্থীরা প্রোভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ ও প্রক্টর ড. একেএম গোলাম রাব্বানী ও হল প্রভোস্ট শবনম জাহানকে অবরোধ করে রাখেন।
এ সময় বিক্ষুব্ধ ছাত্রীরা প্রোভিসির প্রাইভেটকারটি জালভোটের ব্যালট দিয়ে ঢেকে দেন। ভোট জালিয়াতিকে তারা লজ্জার ভোট বলে স্লোগান দেন।
এ ঘটনায় হল কুয়েত মৈত্রী হলের প্রভোস্ট শবনম জাহানকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়া ডাকসু নির্বাচনের ভোট শুরুর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুফিয়া কামাল হলে ব্যালটবাক্স না দেখানোর প্রতিবাদে ভোট প্রদান বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন