মোটরসাইকেলের লাইসেন্সে বাস চালাতেন ঘাতক চালক
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরীকে চাপা দেয়া সুপ্রভাত বাসের চালকের গাড়ি চালানোর লাইসেন্স ছিল না বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে মোটরসাইকেল চালানোর লাইসেন্স ছিল তার। আবরার হত্যা ঘটনায় তার বাবা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আরিফ আহমেদ চৌধুরী ইতোমধ্যে বাদী হয়ে গুলশান থানায় করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, বাস চাপার এ ঘটনায় ঘাতক বাস সুপ্রভাতের চালক ও হেলপার জড়িত থাকতে পারে।
এই এজাহারের ভিত্তিতে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, চালক সিরাজুল ইসলামের বাস চালানোর কোনো লাইসেন্সই ছিল না। তার শুধু মোটরসাইকেল চালানোর লাইসেন্স ছিল। সেই লাইসেন্স নিয়েই এতদিন ধরে সে বাস চালকের কাজ করে আসছে।
এ ব্যাপারে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, ওই বাস চালকের যে ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল সেটা হালকা যান চালানোর লাইসেন্স। যা দিয়ে তিনি মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার, মাইক্রো, ছোট কাভারট ভ্যান চালাতে পারতেন। কিন্তু বাস চালানোর লাইসেন্স তার ছিল না।
মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর ভাটারার প্রগতি সরণি এলাকায় যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে বাস চাপায় নিহত হন আবরার আহমেদ চৌধুরী। এ ঘটনার পর বাস চালক ও হেলপার পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে চালককে ধরে ফেলে সেখানে থাকা শিক্ষার্থীরা। পরে তাকে আটক এবং বাসটি জব্দ করে পুলিশ।
রাজধানীতে চলছে ট্রাফিক সপ্তাহ। এর মাঝে সকালে জেব্রা ক্রসিং দিয়েই রাস্তা পার হচ্ছিলেন ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র আবরার। সেই জেব্রা ক্রসিংয়ের ওপরই ঘটল এই বাসচাপার ঘটনা।
ইতোমধ্যে সুপ্রভাত পরিবহনের রুট পারমিট ও লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করে রাজধানীতে ওই বাসের চলাচল নিষিদ্ধ করার কথা জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন