আর্থিক খাতে সাইবার ক্রাইম ঠেকানো যাচ্ছেনা কেন?
বাংলাদেশে পুলিশ বলছে, দেশে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে যতরকম অপরাধ হয়, তার মধ্যে অর্থনৈতিক অপরাধের সংখ্যা ২০১৭ সালের তুলনায় পরের বছর পাঁচগুনেরও বেশি বেড়েছে।
কিন্তু বেশির ভাগ সময়ই ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা অভিযোগ জানাতে আসেনা, যে কারণে এসব ঘটনা থেকে যায় আইনি ব্যবস্থার বাইরে।
যদিও মোবাইল ব্যাংকিং করতে গিয়ে কিংবা বিকাশে অর্থ লেনদেন করতে প্রতারণার শিকার হয়েছেন, চারপাশে প্রায়ই এমন কথা শোনা যায়।
কিভাবে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন সাধারণ মানুষ?
শফিকুল ইসলাম, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন চিকিৎসক। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের এক দুপুরে তার কাছে অপরিচিত নম্বর থেকে একটি ফোন আসে।
নিজেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস রকেটের একজন নির্বাহী পরিচয় দিয়ে কথা বলেন এক ব্যক্তি।
আদতে ঐ ব্যক্তি ছিলেন একজন প্রতারক, যিনি ফাঁদে ফেলে মিঃ ইসলামের পঞ্চাশ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন।
“আমাকে বললো যে ঐদিনের মধ্যে আপনার অ্যাকাউন্ট নতুন করে রেজিস্টার করতে হবে, আপনি ব্রাঞ্চে গিয়েও করতে পারেন, আবার আমাদের এখানে ফোনেও করতে পারেন। আমার হাতে সময় ছিল না, তাই তাদের নির্দেশনা মত স্টেপ ফলো করি।”
“প্রসেস যখন শেষ হলো, আমার কাছে মেসেজ আসলো যে আমার অ্যাকাউন্ট থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার হয়ে গেছে।”
ডাচ বাংলা ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করে তিনি পরে জেনেছেন, ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ ধরণের কোন যোগাযোগ করা হয়নি।
এর পরে তিনি পুলিশের কাছেও যাননি, কারণ তার মনে হয়েছে তার নিজের বোকামির জন্যই এমনটি হয়েছে।
ঢাকার একটি স্কুলের শিক্ষক নুসরাত জাহানের গল্পটি প্রায় একই রকম। লটারীর লোভ দেখিয়ে তাকে ফাঁদে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু একেবারে শেষ মূহুর্তে পরিবারের হস্তক্ষেপে তিনি বেঁচে যান।
“আমাকে বলা হয়েছিল, আপনার মোবাইল নম্বরটি বেশ পুরনো, এমন পুরনো নম্বরের মালিকদের আমরা পুরস্কৃত করছি। তার অংশ হিসেবে লটারী, যাতে আপনি টিভি, ফ্রিজ, ওভেন অনেক কিছু জিতে নিতে পারেন।
“আমাকে কেবল দুই হাজার টাকা বিকাশ করতে হবে ঐ নম্বরে।”
“আমি কনভিন্সড হয়ে যাচ্ছিলাম বিকাশ করতে। কিন্তু বাসার সবাইকে বলাতে আর আমাকে যেতে দেয়নি। পরে আমার স্কুলে অনেকের কাছে শুনেছি কেউ কেউ এমন ফোনে ইতিমধ্যেই প্রতারিত হয়েছেন।”
কী ধরণের অভিযোগ
সাইবার অপরাধের মধ্যে যেসব আর্থিক অপরাধের কথা শোনা যায়, তার মধ্যে মোবাইল ব্যাংকিং নিয়েই সবচেয়ে বেশি অভিযোগ শোনা যায়।
মোবাইল ব্যাংক এ্যকাউন্ট হ্যাক করা, প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয়া এমন নানা অভিযোগ রয়েছে।
ভুক্তভোগীরা অনেক সময় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কাছে অভিযোগ জানিয়ে প্রতিকার পান না বলেও অভিযোগ করেন।
পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগ বলছে, মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস নিয়ে যত অপরাধ হয়, তার খুব সামান্য একটি অংশই তাদের কাছে অভিযোগ করে থাকেন।
আবার যারা অভিযোগ করেন, তাদের সবাই মামলা করতে চাননা।
২০১৭ সালে মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছে আসা অভিযোগের সংখ্যা মাত্র ৪২টি, এর মধ্যে মামলা হয়েছিল ১৮টি।
কিন্তু ২০১৮ সালে অভিযোগের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২১৭টি, আর এর মধ্যে মামলা হয়েছে মাত্র ১০টি।
কীভাবে সংঘটিত হয় এসব অপরাধ?
পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের উপকমিশনার মোঃ আলীমুজ্জামান জানিয়েছেন, বিভিন্ন ধরণের ফাঁদ পেতে এসব অপরাধ হয়ে থাকে।
“আমরা যাদের গ্রেপ্তার করেছি, তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী আমরা জানতে পেরেছি যে কয়েকটি ভাগে এদের লোকজন কাজ করে। এরা নিকটস্থ বিকাশের দোকান থেকে মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে, এরপর ফোন করে ফাঁদ পাতে।
আবার ফেসবুক ভিত্তিক প্রতারক দলও আছে, তারা বন্ধুত্ব করে, হয়তো কাউকে বলে যে আপনার নামে বিদেশ থেকে গিফট পাঠানো হয়েছে, ট্যাক্স ও ভ্যাট দিয়ে ডিএইচএল থেকে ছাড়িয়ে নিতে হবে।”
পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগ বলছে, মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস নিয়ে যত অপরাধ হয়, তার খুব সামান্য একটি অংশই তাদের কাছে অভিযোগ করে থাকেন।
মিঃ আলীমুজ্জামান বলছেন, টাকা লেনদেনের সহজ মাধ্যম হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং যেমন জনপ্রিয়তা পেয়েছে, তেমনি এ মাধ্যম ব্যবহার করে প্রতারণা, চাঁদাবাজী এবং মুক্তিপণ আদায়েরও অনেক অভিযোগ তারা পান।
কী ব্যবস্থা নেয় প্রতিষ্ঠান?
মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম বিকাশ দাবী করেছে, অনেক সমই তারা দেখেছেন যে প্রতারণায় ব্যবহৃত মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট তৈরি করা হয় ভুয়া পরিচয়পত্র ব্যবহার করে, ফলে অপরাধী চিহ্নিত করা জটিল হয়ে পড়ে।
তবে, বিকাশের কর্পোরেট কম্যুনিকেশন বিভাগের প্রধান শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম বলছেন,অভিযোগ নিস্পত্তিতে কিচুটা সময় লাগলেও, প্রতিটি অভিযোগের ব্যপারে তারা ব্যবস্থা নেন।
“প্রথমে অভিযোগকারীকে একটি জিডি করতে হয়, এরপরেই অভিযুক্ত অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার ব্যবস্থা নেই আমরা। এরপর দুই পক্ষকে ডেকে উভয় পক্ষের বক্তব্য মিলিয়ে দেখি আমরা। এ সময় চেষ্টা থাকে যাতে অপরাধীকে চিহ্নিত করা হয়। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিস্পত্তি করতে কিছুটা সময় তো লাগেই।”
কিন্তু মিঃ হায়দার বলছেন, যেহেতু বিকাশ এজেন্ট নিয়োগ দেয় না,অনেক সময় এজেন্টদের কর্মকান্ড তারা নিয়ন্ত্রন করতে ব্যর্থ হন। যেমন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেধে দেয়া নিয়ম অনুযায়ী একজন এজেন্ট দোকান থেকে কোন নম্বরে অর্থ প্রেরণ করতে পারবেন না।
কিন্তু সেটা কোথাও মানা হয় না, আর সেটি বিকাশ মনিটরও করে না।
ঢাকার ফকিরাপুলে একজন বিকাশ এজেন্টের সঙ্গে আমার কথা হয়, আইনে নিষেধ থাকার পরও যিনি দৈনিক ৭০ হাজার থেকে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত প্রেরণ করেন।
তার সঙ্গে প্রতিবেদকের কথোপকথন নিম্নরূপ:
: ভাই, বিকাশ করা যায়?
: কত টাকা?
: কত পর্যন্ত করা যায়?
: এক অ্যাকাউন্টে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা করা যায়
: ভাই আমি বিবিসিতে কাজ করি, একটা রিপোর্ট বানাচ্ছি। আপনি দিনে কত টাকা বিকাশ করেন?
: এই ধরেন, সত্তর আশি, কয়েক লাখ টাকা পাঠাই। মাঝেমধ্যে দেড় লাখ হয়। সব দিন এক রকম না।
: ভাই, সরকারের তো নিয়ম আছে, আপনি খালি ক্যাশ-ইন বা ক্যাশ-আউট করতে পারবেন, টাকা পাঠাইতে পারবেন না। সেটা কি জানেন?
: কেন? আমি টাকা পাঠাইতে পারবো তো!
এই পর্যায়ে তিনি আর কথা বলবেন না বলে জানিয়ে দেন।
এই ব্যক্তির মত বাংলাদেশে প্রায় নয় লক্ষ মোবাইল ব্যাংক এজেন্ট রয়েছেন।
কবে চালু?
বাংলাদেশে মোবাইল ফাইনানশিয়াল সার্ভিস বা মোবাইল ব্যাংকিং চালু হয় ২০১০ সালে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, এই মূহুর্তে ১৬টি ব্যাংকের এই সেবা রয়েছে।
এ বছরের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলোর গ্রাহক সংখ্যা ছিল ছয় কোটি ৭২ লক্ষ মানুষ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী প্রতিদিন বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসের মাধ্যমে প্রায় ১১ শত কোটি টাকা লেনদেন হয়। যেখানে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সংখ্যা প্রায় ১০ কোটির মত।
ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি এবং অনলাইনে কেনাকাটায় প্রতারণা
ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি এবং অনলাইনে কেনাকাটার সময় ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের তথ্য চুরি করে, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে অর্থ হাতিয়ে নেবার মত অপরাধও ঘটে।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ কাজী মিনহার মহসিন বলছেন, এটিএম মেশিনে এক ধরণের বিশেষ মেশিন বসিয়ে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ক্লোন করা যায়, যাকে কার্ড স্কিমিংও বলা হয়।
সেটা এখন অনেকটাই কমে এসেছে। তবে, মিঃ মহসিন বলছেন এখন সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে অনলাইনে কেনাকাটার সময় ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের তথ্য।
“এখন সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হলো অনলাইনে কেনাকাটার সময় ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের তথ্য চুরি। এখানে কোনকিছু কিনতে আপনি যখন আপনার তথ্য দিচ্ছেন, সেটা থেকে যাচ্ছে। এই সাইটগুলো খুব সহজে হ্যাক করা যায়, এবং হ্যাক হলে আপনার তথ্য তো সেখানে রয়ে যাচ্ছে।”
“ফলে অনেক সময় আপনি হয়তো দেখবেন, কোন একটা থেকে আপনি কোন পন্য কেনার পর, কিছুদিন পর হয়তো আপনার নামে বড় কোন অর্থের বিল এসে হাজির, যা আপনি কেনন নাই।”
অর্থনীতিতে কী ক্ষতি?
অর্থনীতিবিদেরা মনে করেন, যেহেতু ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলার চেয়ে মোবাইল ব্যাংকিং এ অ্যাকাউন্ট খোলা ও অর্থ লেনদেন সহজ, সেকারণে বহু মানুষ এ মাধ্যম ব্যবহার করে থাকেন। আবার এখন অনলাইনেও মানুষ প্রচুর কেনাকাটা করে থাকে, যে কারণে প্রযুক্তি নির্ভর সার্ভিস ব্যবহারে অপরাধের হার বাড়ছে, বলছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।
“সারা পৃথিবীর মত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাতেও লেনদেন অনেক আধুনিক হয়েছে। ফলে মোবাইল ব্যাংকিং বা অনলাইনে কেনাকাটা কিছুই বন্ধ করা যাবে না। বরং এখানে নিরাপত্তা বাড়াতে হবে,এবং সচেতনতা তৈরি করতে হবে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না পেলে এসব আধুনিক ব্যবস্থা সম্পর্কে মানুষের অজ্ঞতার সুযোগে মানুষ প্রতারিত হবে।”
তিনি বলছেন, এসব সাইবার অপরাধের কারণে আর্থিক ক্ষতি যতটা হয় তার চেয়ে বড় ক্ষতি হচ্ছে, ব্যাংকিং ব্যবস্থার ওপর গ্রাহকের আস্থা নষ্ট হয়। ফলে প্রযুক্তি নির্ভর ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
ব্যাংক কী করছে
তবে, পুলিশ বলছে গত দুই বছরে এটিএম বুথ থেকে ম্যাগনেটিক চিপের তথ্য হাতিয়ে কার্ড ক্লোন করে যেসব জালিয়াতি হত, সেসব অনেকটাই কমে এসেছে।
ব্যাংকগুলো বলছে, কার্ড জালিয়াতির অভিযোগ যখন ক্রমে বাড়ছিল, সেসময় অনেকটা বাধ্য হয়েই সতর্ক হতে হয় তাদের। কারণ গ্রাহকের আস্থা নষ্ট হয়ে যাবার ঝুঁকি বাড়ছিল।
বেসরকারি আইএফআইসি ব্যাংকের রিটেইল ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান ফেরদৌসী বেগম বলছিলেন, গ্রাহকের সুরক্ষায় কী ধরণের ব্যবস্থা তারা নিয়েছৈন।
“আমরা কয়েক স্তরে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি। এর মধ্যে রয়েছে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডটিতে এমন ব্যবস্থা করা যা ক্লোন করা প্রায় অসম্ভব। এছাড়া অনলাইনে যেকোন কেনাকাটায় কয়েক ধাপে নিরাপত্তা বেস্টনী পার হতে হবে। আর ডিজিটাল কর্মকান্ড মনিটর করার জন্য সার্বক্ষনিক একটি টিম রয়েছে আমাদের, ফলে প্রতারকদের জন্য কাজটি কঠিন এখন।”
বাংলাদেশ ব্যাংক কী বলছে
বাংলাদেশ ব্যাংক দাবী করেছে, এসব আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় সতর্কতা দেয়া ও অর্থদণ্ডের মত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে মোবাইল ফাইনানশিয়াল সার্ভিস বিষয়ক নির্দেশনায় অনিয়মের জন্য লাইসেন্স বাতিল ও অর্থদণ্ডসহ বিভিন্ন শাস্তির বিধান রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা বিষয়টি নিয়মিত মনিটর করে থাকি, এজন্য আমাদের মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস আইন আছে, তার আওতায় শাস্তির ব্যবস্থার রয়েছে।”
পুলিশ বলছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতার অভাবে সাইবার অপরাধের হার বাড়ছে।
তবে, সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মোবাইল ব্যাংকিং এ হওয়া অপরাধ নিয়ন্ত্রন করা বেশ জটিল একটি প্রক্রিয়া।
ব্যাংকের জন্যেও জটিল একটি কাজ, যেকারণে অনেক ব্যাংক নিজেদের এই সংক্রান্ত সেবা বন্ধ করে দিচ্ছে।
২০১৮ সালে ডিসেম্বরে আইএফআইসি এবং এক্সিম ব্যাংক নিজেদের মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস বন্ধ করে দিয়েছে।
অনলাইনে আর্থিক লেনদেন করতে নিরাপদ থাকতে কী করবেন?
* পিন নম্বর গোপন রাখুন
* ভুয়া “কাস্টমার কেয়ার” থেকে সাবধান, নকল মেসেজ ও ভুয়া কলের ব্যাপারে সাবধান
* যেকোন লেনদেনের পূর্বে নিজের অ্যাকাউন্ট চেক করুন
* সঠিকভাবে নিবন্ধিত সিম থেকে মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট খুলুন
* আপনার ফোন থেকে যদি মোবাইল ব্যাংকিং করে থাকেন, তবে আপনার ফোন যেন অবশ্যই সবসময় ‘লকড’ থাকে
* কোনো নম্বরে টাকা পাঠানোর আগে ফোন করে নিশ্চিত হোন
* কারো সাথে ব্যাংকের তথ্য শেয়ার না করা
* থার্ড পার্টি অ্যাপ ‘আলাউ’ নিষ্ক্রিয় রাখুন
* অপরিচিত নম্বর থেকে আসা এমএমএস, ব্লুটুথ বা ওয়াইফাই ফাইল গ্রহণ ও খোলা থেকে বিরত থাকুন
* মোবাইল ফোন হারিয়ে গেলে যত দ্রুত সম্ভব মোবাইল ব্যাংকিং হেল্পলাইনে কল করে আপনার মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টের সুরক্ষা নিশ্চিত করুন
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন