ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডেও পরিশোধ করা যাবে ট্রাফিক জরিমানা
ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ট্রাফিক পুলিশের ধার্য করা জরিমানা পরিশোধ করার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ঘটনাস্থলেই জরিমানা পরিশোধ করে কাগজপত্র ফেরত নিতে পারবেন সাজা পাওয়া চালক বা মালিক। এ জন্য গ্রামীণফোনের ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) পদ্ধতির সঙ্গে ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের ই-প্রসিকিউশন সিস্টেম সংযুক্ত করা হয়েছে।
রবিবার (২৪ মার্চ) সকাল ১০টায় ডিএমপি’র সদর দফতরে ডিএমপি ও গ্রামীণফোনের মধ্যে এ-সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক (ভিপিএন কানেকটিং এমওইউ) সই হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়ার উপস্থিতিতে এই সমঝোতা স্মারকে সই করেন ডিএমপি’র পক্ষে উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর দফতর ও প্রশাসন) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী ও গ্রামীণফোনের ডেপুটি ডিরেক্টর (হেড অব করপোরেট বিজনেজ) মো. নাছার ইউসুফ।
এ সময় ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘দুর্নীতি ও অনিয়ম রোধ করে ভালো নাগরিক সেবা দেওয়ার উদাহরণ ডিএমপিতে সৃষ্টি হয়েছে। এটা অনুকরণ করে পুলিশের অন্যান্য ইউনিট নিজেদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করছে, যা একটি ভালো দিক। ট্রাফিক পিওএস মেশিনের মাধ্যমে প্রসিকিউশন যেমন সহজ ও স্বচ্ছ হচ্ছে, সেই সঙ্গে দুর্নীতিও কমেছে। সরকারের প্রতিটি বিভাগই ডিজিটালাইজ হয়েছে। সেক্ষেত্রে ডিএমপি অনেক এগিয়ে রয়েছে। ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশনের পর জরিমানা পরিশোধ করে ট্রাফিক অফিস বা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে কাগজ পেতে জনসাধারণের বিড়ম্বনা পেতে হতো। ভালো সেবা দিয়ে বিড়ম্বনা কমানোই আমাদের লক্ষ্য। এই বিড়ম্বনা রোধ করতে ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের পিওএস মেশিনগুলো ভিপিএন-এর নিরাপদ নেটওয়ার্কের আওতায় আনায় ভবিষ্যতে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড সুইফ করে জরিমানা পরিশোধ করা যাবে।’
ট্রাফিকের জরিমানা আদায়ের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনরার বলেন, ‘বর্তমানে ট্রাফিক প্রসিকিউশনে জরিমানা অন দ্য স্পট ইউক্যাশ সার্ভিসের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাচ্ছে। বর্তমানে প্রায় সবার বিকাশ অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ট্রাফিক জরিমানা অন দ্য স্পট বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধের জন্য বিকাশ কর্তৃপক্ষকে এর আওতায় আনা হবে। ভবিষ্যতে ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড সুইফ করে জরিমানা পরিশোধ করলে প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষের জরিমানা দেওয়া সহজ হবে। প্রয়োজন হবে না কোনও কাগজ আটকে রাখার।’
নাগরিক সেবা সহজতর করতে ভালো আইডিয়া ও সার্ভিস দিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে সহযোগিতা করতে আহ্বান জানান ডিএমপি কমিশনার।
গ্রামীণফোনের ডেপুটি ডিরেক্টর নাছার ইউসুফ বলেন, ‘এই ভিপিএন পদ্ধতির ফলে জনভোগান্তি অনেকটা হ্রাস পাবে। ২০১৬ সাল থেকে ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে গ্রামীণফোন কাজ করছে। ইন্টারনেটের পরিবর্তে ইন্ট্রানেট সিস্টেমই এই ভিপিএন। সিকিউর কানেকশনের জন্য ভিপিএন জরুরি। ট্রাফিক প্রসিকিউশনে অনেকে অন দ্য স্পট জরিমানা পরিশোধ করতে ইচ্ছুক থাকেন। সেক্ষেত্রে কার্ড সুইফ করে ভিপিএন-এর মাধ্যমে নিরাপদে জরিমানা পরিশোধ করা যাবে।’ ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশনের ৩০০টি সিম ভিপিএন-এর আওতায় আনা হয়েছে। ভবিষ্যতে জনকল্যাণে এ রকম সিকিউরিটি সিস্টেমে গ্রামীণফোন কাজ করতে আগ্রহী বলে জানান তিনি।
এ সময় ডিএমপি ও গ্রামীণফোনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন