তুরাগে দ্রুত গতিতে চলছে ভরাট অপসারণের কাজ
নদী দখলমুক্ত করার চলমান অভিযানে উচ্ছেদের পর আলোচিত আমিন মোমিন হাউজিংয়ে দ্রুত গতিতে চলছে ভরাট অপসারণের কাজ। বিআইডব্লিউটিএর প্রত্যাশা, আগামী একমাসের মধ্যেই তুরাগে ফিরবে পুরানো প্রবাহ। পরিবেশবিদরা বলছেন, নদীতে গড়ে ওঠা অবৈধ সকল হাউজিংগুলোকে অপসারণের পাশাপাশি জরিমানাও করা উচিত। নৌপরিবহন সচিব জানিয়েছেন, ধারাবাহিকভাবে সকল আবাসন কোম্পানি টেকসইভাবে খনন করা হবে।
আকাশ থেকে দেখলেই স্পষ্ট বোঝা যায়, তুরাগ নদের কতটা জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছিলো আমিন মোমিন হাউজিংটি। বিআইডব্লিউটিএর ভাষায়, দৈর্ঘ্যে প্রায় ৩ হাজার ও প্রস্থে ২৫০ ফুট নদী দখল করে হাউজিংটি তুরাগের একটি চ্যানেলই বন্ধ করে দিয়েছিলো।
চলমান অভিযানে গত ফেব্রুয়ারিতে উচ্ছেদ শেষে এ মাসের ৬ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে হারিয়ে যাওয়া চ্যানেলটি ফিরিয়ে আনার কাজ। বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন জানিয়েছেন, আমিন মোমিন হাউজিংয়ের ভরাট অপসারণে ইতিমধ্যেই নিয়োজিত করা হয়েছে ১২টি এক্সাভেটর। খনন করা হয়েছে প্রায় দেড় লাখ ঘনমিটার মাটি।
তিনি আরও বলেন, এখানে ৮ লক্ষ ঘন মিটার ড্রেজিং করতে হবে। সে জায়গায় দেড় লাখ ঘনমিটার মাটি কাটা হয়েছে। সব মিলে ৪০ ফিটের মত মাটি কাটতে হচ্ছে। আগামী এক মাসের মধ্যে আমরা এটাকে প্রবাহমান করতে পারবো।
আমিন মোমিন হাউজিংয়ে অপসারণের কর্মযজ্ঞ চললেও ঢাকার চারপাশের নদী দখল করা মধু সিটি, বসিলা হাউজিং, ঢাকা উদ্যান, চন্দ্রিমা হাউজিং কিংবা সিলিকন সিটির মতো হাউজিংগুলোতে উচ্ছেদ হলেও এখনো শুরুই হয়নি খননের কাজ। পরিবেশবিদরা বলছেন, তা না করতে পারলে নদী টেকসইভাবে প্রশস্ত হবে না।
পরিবেশবিদ ইকবাল হাবিব বলেন, ‘শুধু অপসারণ নয় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে। পাশাপাশি নদীকে আগের রূপে ফিরিয়ে দেয়ার যে খরচ তার ক্ষতিপূরণ তাদের কাছ থেকে করা প্রয়োজন।’
যন্ত্রপাতি ও লোকবলের কিছু কমতি থাকলেও অবৈধ কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন সচিব মো আবদুস সামাদ। তিনি বলেন, ‘ড্রেজার, এক্সাভেটর নিয়ে আসতে হয়। দক্ষ মানুষ জোগাড় করতে হয়। এরপরেও নদীর মধ্যে যেগুলো হাউজিং করা হয়েছে সব উচ্ছেদ করা হবে।’
নদী দখল করার চলমান উচ্ছেদ অভিযানে যে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে আমিন মোমিন হাউজিংয়ের ক্ষেত্রে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন শেষ পর্যন্ত যদি খনন করে নদীর পুরনো প্রবাহ ফিরিয়ে দেয়া যায় তা হবে দেশের সকল অবৈধ দখলদারদের জন্য কঠোর বার্তা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন