ভয়ভীতি দেখিয়ে ৭ মাস ধরে নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করছে বাবা
ময়মনসিংহ : বাবার লালসা থেকে রক্ষা পায় নি নিজের ঔরসজাত মেয়ে। সাত মাস ধরে ১১ বছরের স্কুল ছাত্রী মেয়েকে ধর্ষণ করে আসছিল তারই জন্মদাতা বাবা।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাতে ধর্ষক বাবা আলাল হুদাকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার কুড়িপাড়া গ্রামে। ঔরসজাত মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনার বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠছে ওই গ্রামের মানুষ।
মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মেয়ের সাথে ধর্ষণের ঘটনার জানার পর তাৎক্ষনিক পুলিশ পাঠিয়ে ধর্ষককে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হচ্ছে।
থানা পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা জানায়, মুক্তাগাছা উপজেলার দুল্লা ইউনিয়নের কুড়িপাড়া গ্রামের অটো চালক আলাল হুদা। তার তিন মেয়ে। বড় মেয়ে স্থানীয় হাই স্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে লেখাপড়া করে।
এই মেয়েকে গত সাত মাস ধরে নানা প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে আসছিল বাবা আলাল হুদা। মেয়ের আকুতি ও বাঁধার পরও থেকে থাকে নি সে। ঘটনাটি সে তার মা ইতি বেগমকে জানায়। ঘটনার প্রতিবাদ করে ইতি বেগম।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মা -মেয়ে দু’জনকেই বিভিন্ন সময় মারধর করে আলাল হুদা। নিরবে সহ্য করতে থাকে মা ও মেয়ে।
এরপরও ১১ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করা থেকে বিরত হয়নি আলাল। কোনো পথ না দেখে সাতদিন আগে মেয়েদেরকে নিয়ে পালিয়ে যায় ইতি বেগম।
পরে স্বামী আলাল হুদার অনুরোধে গতকাল শুক্রবার বাড়িতে ফিরে আসে সে। এর পরও স্বামীর মতলব খারাপ দেখে স্থানীয় ইউপি সদস্য মনোয়ারাকে বিষয়টি খুলে বলেন ইতি বেগম।
ইউপি সদস্য ঘটনা জানার পর তৎক্ষনাত বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করেন। পরে গতকাল রাত ৯ টায় আলাল হুদাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ধর্ষিতা মেয়ের মা ইতি বেগম বলেন, মেয়ের সর্বনাশ দেখে সে আর ন্থির থাকতে পারেনি। কোনো উপায় না দেখে স্থাণীয় ইউপি সদস্যকে জানাতে বাধ্য হয় সে। তার মেয়ের সর্বনাশকারী স্বামী আলাল হুদার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন