ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ
আজ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। ১৯৭১ এর এই দিনে মুক্তিবাহিনীর দখলে থাকা মেহেরপুরের মুজিবনগরে যাত্রা শুরু করেছিলো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা থেকে শুরু করে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের স্বীকৃতি আদায় সবই ছিল এ সরকারের কৃতিত্ব।
১৯৭১ এর এপ্রিল। পাকিস্তানী বাহিনীর বিমান হামলা যশোরের সবুজ প্রান্তর থেকে মেহেরপুর পর্যন্ত পৌঁছেছে। জাতির জনকের নির্দেশে সংগঠিত মুক্তিকামী বাঙালী। প্রতিরোধ সংগ্রাম করে যাচ্ছে বিক্ষিপ্তভাবে কিংবা সংগঠিত হয়ে।
এমন পরিস্থিতিতেই ইতিহাসে জায়গা করে নেয় এক অখ্যাত আমবাগান। মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথ তলায় শপথ গ্রহণ করে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম মন্ত্রিপরিষদ সচিব এইচ টি ইমাম বলেন, এটি তো জনযুদ্ধ, যেখানে সমগ্র জাতি সম্পৃক্ত। তাদেরকে জানানো দরকার, তাদের রাষ্ট্র স্বাধীন রাষ্ট্র হয়েছে। এজন্য সিদ্ধান্ত হলো শপথ গ্রহণ করবেন এবং এই অনুষ্ঠানটি হতে হবে স্বাধীন বাংলার মুক্ত অঞ্চলে।
পনেরোটি মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন বিভাগ নিয়ে স্বল্প পরিসরে যাত্রা শুরু করে এই সরকার। পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতি, তার অবর্তমানে সৈয়দ নজরুল ইসলাম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দিন আহমেদ প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত হন। মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি হিসেবে ঘোষণা করা হয় জেনারেল এম এ জি ওসমানীর নাম।
এইচ টি ইমাম আরো বলেন, একটি আধুনিক সরকারের যা কিছু করতে হয় তার সবকিছু এই সরকার করেছে। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকরা বলছেন, এ শপথ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে আত্মপ্রকাশ করেছিলো বাংলাদেশ।
মুজিবনগর সরকারের চেতনা প্রেরণা নিরন্তর আপোষহীন করবে বাঙালীকে বলছেন এই দুই সংগঠক।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন