ফণীর আঘাতে মায়ের কোলে শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু

ফণীর তাণ্ডবের মধ্যে ঘরে মায়ের কোলে নিরাপদ আশ্রয়ে শিশু ইসমাইল। এ সময় ঘরটি ভেঙে পড়লে তার নিচে চাপা পড়ে মায়ের কোলেই মারা যায় সে। শুক্রবার (৩ মে) গভীর রাতে নোয়াখালীতে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার রাত থেকেই নোয়াখালীর সুর্বণচর, হাতিয়া, কোম্পানীগঞ্জ ও সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। এরমধ্যে উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ে সৃষ্ট কয়েক মিনিটির টর্নেডোর আঘাতে বসত ঘরের চাপা পড়ে ইসমাইল হোসেন নামে দু’বছরের এক শিশু নিহত হয়। এছাড়াও কোম্পানীগঞ্জ আমকুড়াতে গিয়ে একস্কুল ছাত্রীর মৃত্যু হয়। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে অন্তত ২৫ জন আহত ও শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।

শুক্রবার গভীর রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে আঘাত হানে ‘ফণী। নিহত ইসমাইল সুবর্ণচরের চর আমানউল্যা ইউপির আব্দুর রহমানের ছেলে। আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। তাদের মধ্যে অনেককে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যা থেকে জেলায় বৃষ্টি ও বাতাস শুরু হয়। গভীররাতে হঠাৎ জেলার সুবর্ণচর ও সদর উপজেলার কয়েকটি স্থানে আঘাত করে টর্নেডো। কয়েক মিনিটের টর্নেডোতে বিধ্বস্ত হয় দু’টি উপজেলার শতাধিক কাঁচা বাড়ি ঘর। এসময় চর আমানউল্যা এলাকায় একটি ঘর ভেঙে পড়লে মায়ের কোলে থাকা অবস্থায় চাপা পড়ে শিশু ইসমাইল নিহত হয়। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে।

একজন নিহত হওয়ার বিষয়টি স্থানীয় চর আমানউল্লাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন নিশ্চিত করেছেন।