মেয়র নিজেই আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষদের রেঁধে খাওয়ালেন
ঘূর্ণিঝড় ফণীর ছোবল থেকে বাঁচতে মোংলা পৌরসভার অডিটোরিয়ায়ে আশ্রয় নেন শিশুসহ ২ শতাধিক নারী-পুরুষ।
তাদের জন্য শুকনা খাবারের পাশাপাশি শনিবার দুপুরে খিঁচুড়ি রান্নার উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু, বিপত্তি ঘটে বাবুর্চি নিয়ে। ঝড়ের দিন হওয়ায় বাবুর্চি পাওয়া যাচ্ছে না।
এরই মধ্যে ত্রাতা হয়ে আসেন মোংলা পৌরসভার মেয়র মো. জুলফিকার আলী। তিনি নিজেই রান্না শুরু করে দেন। সহযোগিতা করেন পৌরসভার স্টাফরা।
মেয়র নিজে রান্না করায় উপস্থিত আশ্রয়প্রার্থীরা হতবাক বনে যান। তারা মেয়রের এমন বদ্যনতায় প্রশংসা করেন।
এ বিষয়ে মেয়র জুলফিকার আলী বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ফণীর সতর্কতায় পৌরসভায় ২৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়। এখানে শুক্রবার রাত ও শনিবার সকালে চিড়া, মুড়ি, গুড়, রুটি, পরোটা দেয়া হয়।’
তিনি বলেন, ‘শনিবার দুপুরে খিঁচুড়ি খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। ২৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে বাবুর্চি থাকলেও অডিটোরিয়াম কেন্দ্রে রান্না করার কেউ ছিলেন না। পরে আমি নিজে রান্না করে উপস্থিত সবাইকে খাইয়েছি। নাগরিকদের এমন সেবা করতে পেরে আমি অন্যরকম তৃপ্তি পেয়েছি।’
ফণীর বিপদ কেটে যাওয়ার পর বিকেল থেকে মানুষেরা আশ্রয়কেন্দ্র থেকে নিজ বাড়িঘরে ফিরে যান বলেও জানান মেয়র।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন