জরুরি ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় নৌবাহিনী
ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র আঘাত পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় দুর্গত এলাকাগুলোতে জরুরি উদ্ধারকাজ, ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ ও চিকিৎসা সহায়তা শুরু করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ।
শনিবার সকালে খুলনার তিতুমীর নেভাল জেটি থেকে জরুরি ত্রাণ সামগ্রী ও চিকিৎসা সহায়তা নিয়ে নৌবাহিনীর জাহাজ বানৌজা মেঘনা বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ ও বানৌজা যমুনা বরিশালের হিজলার উদ্দেশে যাত্রা করে। এ ছাড়া নৌবাহিনী জাহাজ এলসিটি-১০৪ মোংলার দিগরাজ নৌঘাঁটি থেকে সাতক্ষীরার নীলডুমুরের উদ্দেশে রওনা হয়।
পাশাপাশি চট্টগ্রাম, খুলনা ও মোংলা এলাকার নৌবাহিনীর কন্টিনজেন্ট এবং অন্যান্য জাহাজও দ্রুততম সময়ে দুর্গত এলাকায় মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
দুর্গত এলাকাগুলোতে নৌবাহিনীর এসব জাহাজ জরুরি ত্রাণ হিসেবে শুকনো খাবার, বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ ও খাবার স্যালাইন বিতরণের কাজ করছে। এসব জাহাজে ত্রাণ সহায়তা হিসেবে দুই হাজার পরিবারের জন্য তিন দিনের শুকনা খাবার মজুদ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রতিটি পরিবারের জন্য শুকনা খাবার হিসেবে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল, ২ কেজি তেল, ২ কেজি লবণ, ২ কেজি চিড়া, ২ কেজি মুড়ি, ১ কেজি গুড়, প্যাকেট বিস্কুট, মোমবাতি, পলিথিন ব্যাগ, ম্যাচ বক্স, বিশুদ্ধ খাবার পানি, স্যালাইন ও জীবন রক্ষাকারী ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে দুর্গত এলাকায় নৌবাহিনীর এ ত্রাণ সহায়তা ও উদ্ধারকাজ চলমান থাকবে।
নৌবাহিনীর খুলনার নেভাল কমডোর এ মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, প্রতিটি জাহাজে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ৫০০ পরিবারের জন্য তিনদিনের রেশন প্যাকেট করে প্রস্তুত রেখেছি। সাথে মেডিকেল টিম ও ডাক্তার আছে। ত্রাণ সহায়তার জন্য খুলনা অঞ্চলে ৩৫টি জাহাজ প্রস্তুত আছে। চট্টগ্রাম অঞ্চলেও জাহাজ প্রস্তুত আছে। নৌবাহিনীর সদর দপ্তর থেকে আমাদের সার্বিকভাবে গাইড লাইন দেওয়া হচ্ছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন