খালেদার মতো ত্যাগী নেত্রী এশিয়ায় নেই : ফখরুল
বিএনপির চেয়ারপারসন কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মতো ত্যাগী নেত্রী এশিয়া মহাদেশে খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে মনে করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগমীর।
খালেদা জিয়ার সংগ্রামী রাজনৈতিক জীবনী তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশনেত্রী গণতন্ত্রের জন্য যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন তা আর কোনো রাজনীতিবিদ করেননি। তিনি সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান। সংসদীয় গণতন্ত্র চালু করার মাধ্যমে বেগম জিয়া তার সে কাজ শুরু করেছিলেন।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ সেন্টার কর্তৃক আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সাবেক সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপ্রতির স্ত্রী। তিনি রাজনীতি করে জেল খেটে এত কষ্ট না করে সারাজীবন আরাম-আয়েশের জীবন-যাপন করতে পারতেন। কিন্তু তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে রাজনীতিতে এসেছেন। বেগম জিয়া দেশকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে নারী শিক্ষাসহ প্রতিটি সেক্টরে কাজ করেছেন।
দেশের বিচার ব্যবস্থা ধংস হয়ে গেছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে, দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধংস করা হয়েছে। দেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে এই অবৈধ সরকার।
বিএনপিকে ভাঙার জন্য নানা প্রকার অপপ্রচার চালানো হচ্ছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা (নেতাকর্মীরা) কোনো ভুয়া খবরে কান দিবেন না। বিএনপি দেশনেতা তারেক রহমানের নির্দেশে ঐক্যবদ্ধ আছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিদেশ থেকে আমাদের পরিচালনা করছেন। তিনি আমাদের যেই নির্দেশনা দিবেন আমরা সেই নির্দেশনায় ঐক্যবদ্ধ থাকব।
ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক বাবুল তালুকদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স প্রমুখ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন