নার্স তানিয়ার পরিবারের পাশে আফরোজা আব্বাস

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের পর হত্যার শিকার নার্স শাহিনুর আক্তার তানিয়ার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস।

সোমবার সকালে তিনি ঢাকা থেকে কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামে উপস্থিত হয়ে নিহত শাহিনুরের শোকাহত পরিবারের খোঁজখবর নেন।

এ সময় তানিয়ার বাবা গিয়াস উদ্দিন, ভাই আক্তারুজ্জামান বাদল, সবুজ মিয়া, সুজন মিয়া, কফিল উদ্দিন সুমন ও বোন রুবী আক্তারকে সান্তনা দেন আফরোজা আব্বাস। তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের পাশে আছেন। ধৈর্য ধরুন, আল্লাহ আপনাদের মঙ্গল করবেন।

আফরোজা আব্বাস আরও বলেন, দেশে একের পর এক খুন, গুম, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেই চলেছে। কিন্তু দেশে আজ গণতন্ত্র নেই বলে কোনো অপরাধীদের সঠিক বিচার হচ্ছে না। অথচ রাজনৈতিক কারণে প্রহসনের বিচার দেখিয়ে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে। দেশ আজ এক চরম সংকটের মধ্যে আছে। বিনা ভোটের সরকার যা ইচ্ছা তাই করে যাচ্ছে। আমি সব গুম, খুন, ধর্ষণের বিচার দাবি করছি।

তিনি বলেন, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাকে বলেছেন- নিহত নার্স শাহিনুরের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে এবং তার পরিবারের খোঁজখবর নিতে। আমি সেহরি ও ফজরের নামাজ শেষে ঢাকা থেকে রওনা দিই।

তানিয়ার বাবার হাতে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়ে আফরোজা আব্বাস বলেন, আমি আপনাদের খোঁজখবর রাখব। স্থানীয় নেতাকর্মীরা আছে, তারা আপনার খোঁজখবর রাখবেন।

এ সময় আফরোজা আব্বাসের সঙ্গে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজাহারুল ইসলাম, সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা, উপজেলা বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন খাঁন দিলীপ, সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান কাঞ্চন, জেলা বিএনপি সদস্য গোলাম ফারুক চাষী, বিএনপি নেতা মন্টু মিয়া, লোহাজুরী ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি সাইফুল মতিন জুয়েল, পৌর বিএনপি নেতা আশরাফুল হক দাদন, জেলা যুব দলের সভাপতি খসরুজ্জামান শরীফ, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাসুদ, যুবদল নেতা শাহীন, সাজ্জাদ হোসেন, জীবন চন্দ্র দাশ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মারুফ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক নেভিন, উপজেলা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ৬ মে সোমবার রাতে স্বর্ণলতা পরিবহনে ঢাকার বিমানবন্দর কাউন্টার থেকে কটিয়াদী হয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে পার্শ্ববর্তী বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নের বিলপাড় গজারিয়া এলাকায় ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্স শাহিনুর আক্তার তানিয়াকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়।