বিআরটিসির বাস এত তাড়াতাড়ি নষ্ট হয় কেন?
বিআরটিসির (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ) সেবায় অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিআরটিসিকে আমি দেউলিয়া প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখতে চাই না। বিআরটিসির বাসগুলো এত তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়, এসি নষ্ট হয়ে যায়, জানালার কাচ থাকে না, এটি কেন? যারা এর দায়িত্বে আছেন তারা কি দেখেন না? বিআরটিসি দেউলিয়া হলে আপনারাও দেউলিয়া হয়ে যাবেন।
রোববার দুপুরে বিআরটিসি ভবনে ‘বিআরটিসি ঈদ স্পেশাল সার্ভিস’ শীর্ষক পর্যালোচনা ও মতবিনিময়সভা এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও শ্রমিকদের মধ্যে গ্র্যাচুইটির চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিআরটিসিতে নতুন ৬০০ গাড়ি এসেছে। আরও ছয় হাজার এলেও সমস্যার সমাধান হবে না, যদি শৃঙ্খলায় না আসি।
ঈদের সময় সরকারি এ পরিবহনে বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারি গাড়িতে যদি এমন হয়, তা হলে বেসরকারি গাড়ির কী হবে?
রমজানে সেবা বাড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বিআরটিসি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, রমজান মাস সংযমের মাস। এ মাসে ইনকামটা একটু কম করলে কি হয়। বিআরটিসি যেন আগের মতো সুনামের ধারায় ফিরে আসে, সেদিক বিবেচনা করে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন। সৎ ও পরিচ্ছন্নভাবে বিআরটিসিকে পরিচালনা করলে জনগণের সামনে সুনাম অক্ষুণ্ন থাকবে।
এবার ঈদযাত্রার স্বস্তির হবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঈদের সময় এবার যাত্রা অনেক সহজ ও স্বস্তির হবে। তবে গাজীপুরে কিছুটা অস্বস্তির কারণ হতে পারে। পরিবহনগুলো যদি শৃঙ্খলা মেনে চলে তা হলে সড়কে যানজট থাকার কথা নয়।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ঈদের সময় দুর্ভোগের জায়গাগুলোতে এবার যাত্রা অনেক সহজ ও স্বস্তির হবে। তবে গাজীপুরে সড়কে সমস্যা রয়েছে। আমি বলে দিয়েছি, গাজীপুরের সড়কে ঈদ পর্যন্ত কোনো পাইলিং হবে না। এখানে কিছুটা অস্বস্তির কারণ হতে পারে। এ ছাড়া বাকি রাস্তা যান চলাচল উপযোগী রয়েছে। পরিবহনগুলো যদি শৃঙ্খলা মেনে চলে তাহলে সড়কে যানজট থাকার কথা নয়।
তিনি বলেন, গাজীপুরে যানজট সমস্যা নিরসনে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রীকে সভাপতি করে একটি কমিটি করেছি। এ কমিটি যানজট নিরসন করতে পারবে বলে আশা করছি। এ ছাড়া সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে টঙ্গী থেকে গাজীপুর পর্যন্ত সড়কে ৩০০ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবে।
টঙ্গী-গাজীপুর সড়কের যানজট নিরসন কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর, স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর মেট্রোলিটনের পুলিশ কমিশনার, বিআরটিএ কর্মকর্তা ও রুট ট্রানজিটের প্রকল্পের পরিচালক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সড়কপথে একটা স্বস্তিদায়ক যাত্রা যেন নিশ্চিত করতে পারি, সে জন্য এসেছি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সড়ক পরিবহনে বৈজ্ঞানিক পরিবর্তন শুরু হয়েছে।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন