পাটকল শ্রমিকদের বেতন-ভাতার জন্য ১৬৯ কোটি টাকা ছাড়
পাটকল শ্রমিকদের বেতন ও ভাতার জন্য জরুরি বিবেচনায় ১৬৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয় এ বরাদ্দের অর্থ ছাড় করেছে।
এ অর্থ শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করা এবং বেতন-ভাতা ছাড়া এ অর্থ অন্যকোনো খাতে ব্যবহার করা যাবে না বলে শর্ত দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বেশ কিছু দিন ধরে বকেয়া বেতন, মজুরি ও উৎসব ভাতার দাবিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন করে আসছেন পাটকল শ্রমিকেরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে আপদকালীন জরুরি বিবেচনা এবং আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শ্রমিকদের মজুরি ও উৎসব ভাতা পরিশোধের জন্যই এ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তবে এ খাতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছিল বলে জানা গেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (পাট ও বস্ত্র) নুর উদ্দীন আহমেদ স্বাক্ষরিত বরাদ্দ প্রত্রে ৬টি শর্ত জুড়ে দেয়া হয়। এগুলো হলো- বরাদ্দকৃত অর্থ বিজেএমসির কারখানাগুলোর শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও ভাতার বাইরে অন্যকোনো খাতে দেয়া যাবে না। আর সুনির্দিষ্ট ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট পে-চেকের মাধ্যমে তা দিতে হবে। বরাদ্দ দেয়া অর্থ ব্যয়ের সাত দিনের মধ্যে মিলভিত্তিক শ্রমিকদের তালিকাসহ বিস্তারিত বিবরণী অর্থ বিভাগে পাঠাতে হবে। এ অর্থ ব্যয়ে সরকারি বিধিবিধান মানার জন্যও বলা হয়েছে। আর এর ব্যত্যয় হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে বলেও সাবধান করা হয়েছে। এ জন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় বিজেএমসি ও অর্থ বিভাগের মধ্যে স্বাক্ষর করা শর্তগুলো মেনে চলার কথাও স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়।
যে অর্থ বরাদ্দ হলো তা ‘পরিচালন ঋণ’ হিসেবে গণ্য করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আগামী ২০ বছরে ৫ শতাংশ সুদে প্রতি ছয় মাসের কিস্তিতে এ অর্থ পরিশোধ করতে হবে। আর এ জন্য অর্থ বিভাগের সঙ্গে বিজেএমসিকে একটি ঋণচুক্তি করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন