প্রতি ৮ ঘণ্টায় স্টেরয়েড নিয়ে বাঁচতে হয়েছে : সুস্মিতা
সুস্মিতা সেন। প্রাক্তন মিস ইউনিভার্স। তিনিই প্রথম ভারতীয় যিনি এই মুকুট লাভ করেন। তার অভিনীত অনেক ছবি রয়েছে। সেই সুস্মিতা জানালেন তার জীবনে কঠিন অসুখের কথা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সুস্মিতা জানান, ২০১৪ সালে বাংলা ছবি ‘নির্বাক’-এর শুটিংয়ের সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। প্রথমে বুঝতেই পারেননি। পরে চিকিৎসকরা জানান তার শরীরে ভয়ানক ব্যাধির কথা।
এই নায়িকা বলেন, ‘প্রথমে বিভিন্ন টেস্ট করি, কিন্তু কিছুই ধরা পড়ছিল না। হঠাৎ শুটিংয়ে অজ্ঞান হয়ে যাই। আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানালেন, আমার শরীরে কর্টিসল হরমোন তৈরি হওয়া বন্ধ করে দিয়েছে অ্যাড্রিনালিন গ্রন্থি।’
সুস্মিতা আরও বলেন, ‘চিকিৎসকরা জানিয়ে দিল যে, আমাকে স্টেরয়েডের উপরই বেঁচে থাকতে হবে। যে স্টেরয়েডটা আমায় দিনে ৮ ঘণ্টা অন্তর নিতে হবে। রোগের কথা জানার পর পরবর্তী দুই বছর আমার ট্রমার মধ্যে কেটেছিল। কারণ আমি একজন পাবলিক ফিগার। আর আমার চুল দিন দিন উঠে যাচ্ছিল।’
এই স্টেরয়েড খেলাধুলো আর শরীরচর্চার জন্য ব্যবহার হয় সেটা নয় বলে জানান সুস্মিতা। তিনি বলেন, ‘আমাকে যে স্টেরয়েড দেওয়া হয়েছিল সেটা ব্যবহার করলে ওজন বেড়ে যায়। হাড়ের ঘনত্ব বেড়ে যায়, রক্তচাপ বাড়ে। আমি দুর্বল হয়ে পড়ছিলাম। খুব চিন্তা হচ্ছিল এটা ভেবে যে আমার দুটো বাচ্চা আছে। আর আমি সিঙ্গল মাদার।’
প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী সুস্মিতা জানান, এখন তিনি ভাল আছেন। তার জীবনের কিছু মানুষের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞ।
এদিকে সুস্মিতা সেন এখনো বিয়ে করেননি। র্যাম্প মডেল রোহমান শলের সঙ্গে প্রেম করে বেড়াচ্ছেন। এরই মধ্যে সুস্মিতাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন রোহমান। সুস্মিতা তা গ্রহণ করেছেন। ২০০০ সালে রেনি আর ২০১০ সালে আলিশাকে দত্তক হিসেবে গ্রহণ করেন সুস্মিতা সেন। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ২৫ বছর।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন